নাফাখুম ভ্রমণ : বাংলাদেশের নায়াগ্রা

বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাফাখুম জলপ্রপাতটিকে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং রেমাইক্রি নদীর উপরের স্রোত থেকে 25-30 ফুট উপরে থেকে প্রবাহিত বিশাল জলপ্রপাতের জন্য “বাংলাদেশের নায়াগ্রা জলপ্রপাত” বলা হয়। এটি সাঙ্গু নদীর একটি উপনদী এবং নামটি মারমা ভাষা থেকে এসেছে যার অর্থ বাঘাইর মাছের জলপ্রপাত/ বামন গুঞ্চ (নাফা অর্থ দেশীয় মাছ এবং খুম অর্থ জলপ্রপাত)।

 

নাফাখুমের প্রধান আকর্ষণ

বান্দরবান থেকে থানচি যাওয়ার রুটটি দেশের সবচেয়ে সুন্দর এবং রোমাঞ্চকর রুটগুলির মধ্যে একটি নাফাখুম । যা পাহাড়ের চূড়ায়। সৌন্দর্য, ভয় এবং উত্তেজনার এক মিশ্র অনুভূতি দেয়! পথে কয়েকটি স্টপেজ আছে। উপজাতিদের জীবনধারা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন সেখানে। থানচি আসার পর পাহাড়ি নদী পেরিয়ে ২-৩ ঘণ্টার নৌকা ভ্রমণ এবং গভীর বনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য আরও উত্তেজনা নিয়ে আসে। তৃতীয় পর্বের উচ্ছ্বাস শুরু হবে রেমাক্রি বাজার থেকে, যেখান থেকে পাহাড়ের ঝোপঝাড় পেরিয়ে সরু পথ দিয়ে আরও ২ ঘণ্টা পথ পাড়ি দিতে হবে। একবার জলপ্রপাতের কাছে গেলে, আপনি আপনার চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না যে দূরের পাহাড় থেকে স্বচ্ছ মিষ্টি জলের প্রবাহ কত সুন্দর!

 

নাফাখুম কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। তারপর থানচি উপজেলায় পৌঁছানোর জন্য স্থানীয় পরিবহন (প্রধানত বিশেষ জীপ স্থানীয়ভাবে চাঁদের গাড়ি নামে পরিচিত) পাওয়া যায় যা প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা সময় নেয়। সবশেষে, সাঙ্গু নদীতে নৌকায় করে রেমাক্রি যেতে হবে ২-৩ ঘণ্টা, তারপর হেঁটে নাফা-খুম যেতে হবে আরও ২-২.৫ ঘণ্টা।

 

নাফাখুমে কোথায় থাকবেন এবং কী খাবেন

এখানে তিন ধরনের আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে- বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মোটেল, বাণিজ্যিক কটেজ ও রেস্ট হাউস এবং আদিবাসীদের বাড়ি। থানচি বাজারে খাবারের দাম তেমন নেই। সেখানে সুলভ মূল্যে সব ধরনের বাংলা খাবার পাওয়া যায়।

Bangladesh travel destinationstravelTravel bangladeshনাফাখুমবান্দরবানভ্রমণ