মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৭, চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত আঘাত আনতে পারে শনিবার
শক্তিশালী রূপ নিয়েছে ঘুর্ণিঝঢ় ‘ফণী’। এটি এখন সাগর থেকে উপকূলে আসছে। ধীরে আসলেও প্রবল ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নেয়া ফণী যতোই উপকূলের কাছাকাছি আসছে ততোই শক্তিশালী হচ্ছে। ফণীর আঘাত মারাত্মক হতে পারে। হতে পারে জলোচ্ছ্বাসও। আর এতে উপকূলে নিম্নাঞ্চল ডুবে যেতে পারে।
পটুয়াখালীর পায়রা ও বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ধীরে এগিয়ে আসলেও ফণী বেশ শক্তিশালী হয়ে গেছে। এখন তার গতি বেড়ে গেছে। তাই ফণী ৪ মের আগেও বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফণী বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তাই বাংলাদেশে এটি কিছুটা দুর্বল হয়ে আঘাত হানতে পারে।
ফণী আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ফণীর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই উপকূলের ১৯টি জেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বুধবার বলেছেন, দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১ মে থেকে অব্যাহতভাবে অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।