হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে এই ভুল ধারণাগুলি বাড়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি!

বর্তমানের চূড়ান্ত ব্যস্ত জীবনযাত্রায় দীর্ঘদিনের অনিয়মের ফলে নানা হৃদরোগ শরীরে আমাদের অজান্তেই বাসা বাঁধছে। দিনের পর দিন হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেড়েই চলেছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, বয়স, উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত মেদ, মদ্যপান, মানসিক চাপ— মূলত এগুলিই হার্ট অ্যাটাকের কারণ। অনেক সময় বুকে কোনও ধরণের ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা তা খুব ভাল করে বোঝা যায় না।

তবে হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে যথাযথ সচেতনতার অভাব এবং অকারণ ভীতির কারণে এ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা আমাদের অনেকের মধ্যেই রয়েছে। তাই হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে সচেতন হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে এ সংক্রান্ত প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণাগুলি আগে দূর করা জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে এমনই কয়েকটি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণার কথা…

১) বুকে ব্যথা হলেই হার্ট অ্যাটাক বলে ভেবে নেন অনেকে। বুকে ব্যথা ছাড়াও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। বুকে ব্যথা ছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব— এগুলিও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।

২) এমন একটা ধারণা অনেকের মধ্যেই রয়েছে যে, পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি মহিলাদের তুলনায় বেশি। এ ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। কারণ, পুরুষদের মধ্যে অল্প বয়সে বেশি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় ঠিকই কিন্তু মানসিক চাপ বা অবসাদ, স্থুলতার মতো এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মহিলাদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

৩) এমন একটা ধারণা অনেকের মধ্যেই রয়েছে যে, পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস থাকলেই পরিবারের বাকিদেরও হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়বে। কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। অনিয়মিত লাইফস্টাইল, ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস, পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

 

৪) এমন একটা ধারণা অনেকের মধ্যেই রয়েছে যে, ওষুধ খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু এই ধারণার তেমন কোনও ভিত্তি নেই। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা, স্থুলতা বা ওবেসিটির মতো এমন অনেক কিছুর জন্যই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তবে তাই বলে ডায়াবেটিসকেও হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।

৫) অনেকেই মনে করেন, ডায়েট থেকে ফ্যাট বাদ দিলেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। কারণ, ট্রান্স ফ্যাটের মধ্যে থাকা হাইড্রোজেন অয়েল হার্টের জন্য ক্ষতিকর।