ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস
দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়ের সমস্যার মধ্যে একটি হলো ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস। এটি অন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রের একটি সমস্যা, যাতে অনেক মানুষ ভোগে। লিখেছেন দ্য লিভার সেন্টার ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মবিন খান
২০ থেকে ৪০ বছরের মহিলাদের এবং মানসিক অস্থির প্রকৃতির পুরুষের মধ্যে আইবিএসের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে পুরুষের চেয়ে নারীদের প্রায় দুই থেকে তিন গুণ এ সমস্যায় ভোগে।
কারণ
পরিপাকতন্ত্রের এই বিশেষ রোগ নিয়ে গবেষণার কোনো অন্ত নেই। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই রোগের কোনো স্বীকৃত কারণ পাওয়া যায়নি বলে একে ফাংশনাল ডিসঅর্ডারও বলে। তবে আইবিএসের কারণ ও প্রভাবক হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা অনেক বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো দুটি ভাগে ভাগ করা যায় : মনঃসামাজিক ও শারীরবৃত্তীয়।
মনঃসামাজিক : মনঃসামাজিক কারণের মধ্যে আছে দুশ্চিন্তা ও হতাশা। এ ছাড়া হঠাৎ অতিরিক্ত মানসিক চাপও আইবিএসকে প্রভাবিত করে। দেখা গেছে, আইবিএসে আক্রান্ত রোগীরা অল্প সমস্যা হলেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তারা পরিস্থিতি সহজে মানিয়ে নিতে পারে না।
শারীরবৃত্তীয় : খাদ্যনালির অতি সংবেদনশীলতা, খাদ্যনালির নাড়াচাড়ার অস্বাভাবিকতা বা অন্ত্র থেকে মস্তিষ্কে পাঠানো বার্তায় ত্রুটি।
❏ অন্ত্রের প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিবর্তন, অন্ত্রের নিজস্ব জীবাণুর পরিবর্তন।
❏ হরমোনজনিত (নারীদের মাসিকচক্রের সঙ্গে)।
❏ খাদ্যনালির কোনো সংক্রমণ ইত্যাদি।
উপসর্গ
আইবিএসকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যপ্রধান ও আমাশয়প্রধান। এর উপসর্গগুলো হলো :
❏ পেটব্যথা হয়, তবে তা মলত্যাগ বা বায়ু নিঃসরণের পর কমে যায়।
❏ কোনো কিছু খেলে পেট ফুলে যেতে পারে।
❏ ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হতে পারে।
❏ শক্ত অথবা ছোট ছোট পিণ্ড আকারে মলত্যাগ হয় বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
❏ পায়খানার সঙ্গে অতিরিক্ত মিউকাস (চর্বিযুক্ত মল) যাওয়া।
❏ মলত্যাগের পরও তৃপ্তি না পাওয়া।
❏ পেটের নিচের অংশের যেকোনো এক পাশে বা মাঝখানে ব্যথা বা পেটের ভেতর অস্বস্তি।
❏ পায়খানার পর পেটে স্বস্তি বোধ।
❏ সকালের নাশতার পর দ্রুত মলত্যাগের চাপ অনুভব।
এ ছাড়া পেট ভরা ভরা লাগা, অতিরিক্ত বায়ু ত্যাগ, বদহজম, দীর্ঘমেয়াদি ক্লান্তি, মাসিকের সময় ব্যথা এবং পুরো শরীর ব্যথা অতি পরিচিত উপসর্গ। তবে ক্ষুধামান্দ্য, বমি বা বমিভাব, ঢেকুর ওঠা, মাথা ব্যথা, ঘাম হওয়া, অনিদ্রা, জ্ঞান হারানো, রক্তমিশ্রিত মলত্যাগ—এগুলো আইবিএসের লক্ষণ নয়।
পরীক্ষা
আইবিএস নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। যেমন :
❏ রক্ত পরীক্ষা (সিবিসি)।
❏ মলদ্বারে বিশেষ ধরনের যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা (কলোনস্কোপি, সিগময়ডোস্কপি)।
❏ থাইরয়েড হরমোন, মল পরীক্ষা, দুধ সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা ইত্যাদি।
❏ বিশেষ এক্স-রে।
তবে কলোনস্কোপি, সিগময়ডোস্কপি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে করানো উচিত। কারণ অনেক সময় মলদ্বার ও বৃহদন্ত্রের ক্যান্সার রোগীদেরও একই ধরনের উপসর্গ থাকে।
চিকিৎসা
এই সমস্যাগুলো ছয় মাসের বেশি থাকলে এবং মানসিক চাপের সময় এ ধরনের সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকরা আইবিএস হয়েছে বলে ধরে নেন। তখন মানসিক অস্থিরতা ও আচরণগত সমস্যা উভয়েরই চিকিৎসা করাতে হয়। মূলত শরীর থেকে মনের চাপ কমে গেলে সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়।
❏ চিকিৎসার আগে প্রথম কাজ হলো রোগের মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।
❏ যাদের আমাশয়প্রধান আইবিএস রয়েছে তাদের লোপেরামাইড, অ্যামিট্রিপটাইলিন ইত্যাদি ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
❏ যাদের পেটে ব্যথা ও বুটবুট আওয়াজের সমস্যা হয় তাদের মেবেভেরিন, অ্যালভেরিন ইত্যাদি ওষুধ দেওয়া হয়।
❏ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যপ্রধান আইবিএস তাদের ফাইবারযুক্ত খাবার (যেমন : শাকসবজি), ইসুপগুলের ভুসি, ল্যাকটুলোজ ইত্যাদি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
কেউ উপরোক্ত উপায়ে ভালো না হলে অন্য বিকল্প উপায়ে বা অল্টারনেটিভ মেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : রিলাক্সেশন থেরাপি, হিপনোথেরাপি, বায়োফিডব্যাক ইত্যাদি।
কিছু করণীয়
❏ নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশন, যোগব্যায়াম করুন। দুশ্চিন্তা একেবারে নয়।
❏ লিভারের সমস্যা, এনাল ফিশার, পাইলস, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা নিন।
আইবিএস ক্যান্সার নয়
আইবিএসকে অনেকে ক্যান্সার মনে করে ভয় পায়। এই উদ্বেগ থেকে তাদের পেট খারাপের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করা উচিত যে এটা ক্যান্সারজাতীয় কোনো সমস্যা নয়; বরং উপযুক্ত চিকিৎসা নিয়ে আইবিএসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে জীবনাচারের অনেক উত্তরণ ঘটে।
সতর্কতা
দ্য লিভার সেন্টার, ঢাকার গবেষণা থেকে দেখা গেছে, যেসব রোগীর দীর্ঘমেয়াদি লিভারে প্রদাহ এবং ফ্যাটি লিভার থাকে তাদের বেশির ভাগই কোনো না কোনো সময় আইবিএসে আক্রান্ত হয়। আবার যারা পায়খানার অভ্যাসের পরিবর্তন, পেট ফোলা, পেট ব্যথা বা অস্বস্তি, পেটে শব্দ, সুনির্দিষ্ট কিছু খাদ্য হজম না হওয়া জাতীয় সমস্যা নিয়ে আসে, তাদের প্রথম প্রথম আইবিএস হিসেবে সন্দেহ এবং চিকিৎসা করা হলেও পরে লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। সুতরাং একে অবহেলা করার সুযোগ নেই। তাই আইবিএস রোগীদের লিভারের কোনো সমস্যা আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা দরকার।
২০ থেকে ৪০ বছরের মহিলাদের এবং মানসিক অস্থির প্রকৃতির পুরুষের মধ্যে আইবিএসের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে পুরুষের চেয়ে নারীদের প্রায় দুই থেকে তিন গুণ এ সমস্যায় ভোগে।
কারণ
পরিপাকতন্ত্রের এই বিশেষ রোগ নিয়ে গবেষণার কোনো অন্ত নেই। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই রোগের কোনো স্বীকৃত কারণ পাওয়া যায়নি বলে একে ফাংশনাল ডিসঅর্ডারও বলে। তবে আইবিএসের কারণ ও প্রভাবক হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা অনেক বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো দুটি ভাগে ভাগ করা যায় : মনঃসামাজিক ও শারীরবৃত্তীয়।
মনঃসামাজিক : মনঃসামাজিক কারণের মধ্যে আছে দুশ্চিন্তা ও হতাশা। এ ছাড়া হঠাৎ অতিরিক্ত মানসিক চাপও আইবিএসকে প্রভাবিত করে। দেখা গেছে, আইবিএসে আক্রান্ত রোগীরা অল্প সমস্যা হলেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তারা পরিস্থিতি সহজে মানিয়ে নিতে পারে না।
শারীরবৃত্তীয় : খাদ্যনালির অতি সংবেদনশীলতা, খাদ্যনালির নাড়াচাড়ার অস্বাভাবিকতা বা অন্ত্র থেকে মস্তিষ্কে পাঠানো বার্তায় ত্রুটি।
❏ অন্ত্রের প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিবর্তন, অন্ত্রের নিজস্ব জীবাণুর পরিবর্তন।
❏ হরমোনজনিত (নারীদের মাসিকচক্রের সঙ্গে)।
❏ খাদ্যনালির কোনো সংক্রমণ ইত্যাদি।
উপসর্গ
আইবিএসকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যপ্রধান ও আমাশয়প্রধান। এর উপসর্গগুলো হলো :
❏ পেটব্যথা হয়, তবে তা মলত্যাগ বা বায়ু নিঃসরণের পর কমে যায়।
❏ কোনো কিছু খেলে পেট ফুলে যেতে পারে।
❏ ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হতে পারে।
❏ শক্ত অথবা ছোট ছোট পিণ্ড আকারে মলত্যাগ হয় বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
❏ পায়খানার সঙ্গে অতিরিক্ত মিউকাস (চর্বিযুক্ত মল) যাওয়া।
❏ মলত্যাগের পরও তৃপ্তি না পাওয়া।
❏ পেটের নিচের অংশের যেকোনো এক পাশে বা মাঝখানে ব্যথা বা পেটের ভেতর অস্বস্তি।
❏ পায়খানার পর পেটে স্বস্তি বোধ।
❏ সকালের নাশতার পর দ্রুত মলত্যাগের চাপ অনুভব।
এ ছাড়া পেট ভরা ভরা লাগা, অতিরিক্ত বায়ু ত্যাগ, বদহজম, দীর্ঘমেয়াদি ক্লান্তি, মাসিকের সময় ব্যথা এবং পুরো শরীর ব্যথা অতি পরিচিত উপসর্গ। তবে ক্ষুধামান্দ্য, বমি বা বমিভাব, ঢেকুর ওঠা, মাথা ব্যথা, ঘাম হওয়া, অনিদ্রা, জ্ঞান হারানো, রক্তমিশ্রিত মলত্যাগ—এগুলো আইবিএসের লক্ষণ নয়।
পরীক্ষা
আইবিএস নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। যেমন :
❏ রক্ত পরীক্ষা (সিবিসি)।
❏ মলদ্বারে বিশেষ ধরনের যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা (কলোনস্কোপি, সিগময়ডোস্কপি)।
❏ থাইরয়েড হরমোন, মল পরীক্ষা, দুধ সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা ইত্যাদি।
❏ বিশেষ এক্স-রে।
তবে কলোনস্কোপি, সিগময়ডোস্কপি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে করানো উচিত। কারণ অনেক সময় মলদ্বার ও বৃহদন্ত্রের ক্যান্সার রোগীদেরও একই ধরনের উপসর্গ থাকে।
চিকিৎসা
এই সমস্যাগুলো ছয় মাসের বেশি থাকলে এবং মানসিক চাপের সময় এ ধরনের সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকরা আইবিএস হয়েছে বলে ধরে নেন। তখন মানসিক অস্থিরতা ও আচরণগত সমস্যা উভয়েরই চিকিৎসা করাতে হয়। মূলত শরীর থেকে মনের চাপ কমে গেলে সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়।
❏ চিকিৎসার আগে প্রথম কাজ হলো রোগের মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।
❏ যাদের আমাশয়প্রধান আইবিএস রয়েছে তাদের লোপেরামাইড, অ্যামিট্রিপটাইলিন ইত্যাদি ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
❏ যাদের পেটে ব্যথা ও বুটবুট আওয়াজের সমস্যা হয় তাদের মেবেভেরিন, অ্যালভেরিন ইত্যাদি ওষুধ দেওয়া হয়।
❏ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যপ্রধান আইবিএস তাদের ফাইবারযুক্ত খাবার (যেমন : শাকসবজি), ইসুপগুলের ভুসি, ল্যাকটুলোজ ইত্যাদি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
কেউ উপরোক্ত উপায়ে ভালো না হলে অন্য বিকল্প উপায়ে বা অল্টারনেটিভ মেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : রিলাক্সেশন থেরাপি, হিপনোথেরাপি, বায়োফিডব্যাক ইত্যাদি।
কিছু করণীয়
❏ নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশন, যোগব্যায়াম করুন। দুশ্চিন্তা একেবারে নয়।
❏ লিভারের সমস্যা, এনাল ফিশার, পাইলস, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা নিন।
আইবিএস ক্যান্সার নয়
আইবিএসকে অনেকে ক্যান্সার মনে করে ভয় পায়। এই উদ্বেগ থেকে তাদের পেট খারাপের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করা উচিত যে এটা ক্যান্সারজাতীয় কোনো সমস্যা নয়; বরং উপযুক্ত চিকিৎসা নিয়ে আইবিএসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে জীবনাচারের অনেক উত্তরণ ঘটে।
সতর্কতা
দ্য লিভার সেন্টার, ঢাকার গবেষণা থেকে দেখা গেছে, যেসব রোগীর দীর্ঘমেয়াদি লিভারে প্রদাহ এবং ফ্যাটি লিভার থাকে তাদের বেশির ভাগই কোনো না কোনো সময় আইবিএসে আক্রান্ত হয়। আবার যারা পায়খানার অভ্যাসের পরিবর্তন, পেট ফোলা, পেট ব্যথা বা অস্বস্তি, পেটে শব্দ, সুনির্দিষ্ট কিছু খাদ্য হজম না হওয়া জাতীয় সমস্যা নিয়ে আসে, তাদের প্রথম প্রথম আইবিএস হিসেবে সন্দেহ এবং চিকিৎসা করা হলেও পরে লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। সুতরাং একে অবহেলা করার সুযোগ নেই। তাই আইবিএস রোগীদের লিভারের কোনো সমস্যা আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা দরকার।
আবার আইবিএসের অনেক রোগী এনাল ফিশার, পাইলস ইত্যাদি রোগেও ভুগে থাকেন। এ ক্ষেত্রে পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত যেতে পারে, পায়খানার রাস্তা ফুলে উঠতে পারে, পায়খানার পর জ্বালা-যন্ত্রণা করতে পারে অথবা পায়খানার রাস্তা বের হয়ে আসতে পারে। তাই এসব বিষয়ে সতর্ক থেকে এনাল ফিশার এবং পাইলস রোগে তাদের অবশ্যই বৃহদন্ত্র ও মলদ্বারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
https://www.youtube.com/watch?v=wfEPaBfx6p4&t=1s