এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চিকিৎসা বা কোনও টিকা বা নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তাই পরীক্ষামূলক বিকল্প চিকিত্সা পদ্ধতি, আগাম সতর্কতা আর পরিচ্ছন্নতার উপরেই ভরসা রাখছেন চিকিত্সক, বিশেষজ্ঞ থেকে আম জনতা। এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের রক্ত দিয়েই এই ভাইরাসকে ঠেকানোর কথা ভাবছেন তাঁরা।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার দুই বয়স্ক নিমুনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় সেখানকার চিকিৎসকরা এই একই অসুখ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের প্লাজমা বা রক্তরস ব্যবহার করেন। চিকিৎসকদের দাবি, এর ফলে ওই দুই বয়স্ক নিমুনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সেরে উঠেছেন।
বিবিসি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি চিনের ‘ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ’-এ ৩৬ থেকে ৭৩ বছর বয়সী পাঁচ জন রোগীর উপর এই কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করে দেখা হয়েছিল। এখানকার গবেষকদের দাবি, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার পর ১২ দিনের মধ্যেই সবাই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৪৩ জন। এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪৩১। অর্থাৎ, যদি কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপিতে করোনা চিকিৎসায় সাফল্য মেলে তাহলে হয়তো দ্রুত বদলে যাবে পরিস্থিতি, কেটে যাবে মহামারির আতঙ্ক। এমনটাই আশা বিজ্ঞানীদের।