কাঁধে রাখা গামছা দিয়ে চোখ মোছেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগে রিকশার মালিককে দৈনিক ৩৫০ টাকা জমা দিতে হতো। এখন কমিয়ে ২০০ টাকা করেছেন। আজ রোববার মাত্র ৮০ টাকা ভাড়া হয়েছে। তখন বেলা সাড়ে তিনটা। রাজশাহী নগরের সাহেববাজার এলাকায় দেখা হয় তাঁর সঙ্গে।
স্বামীর মৃত্যুর পর প্রায় ১৫ বছর আগে দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে রাজশাহী শহরে আসেন সুমি। এখন তিনি শহরের একজন রিকশাচালক।
খুবই হতাশা প্রকাশ করে সুমি বললেন, ‘সারা দিন রিকশা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে খুব কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় মরেই যাব।’
সুমির একটা মুঠোফোন আছে। সেটা বন্ধ করে নিজের কাছে রেখে দেন। ফোন নম্বর চাইলে পকেট থেকে ফোনটা বের করে অন করলেন। তারপর নম্বরটা দিলেন।
পরে আরও কথা বলতে চাই, ফোনটা বন্ধ করবেন না—এই অনুরোধ জানিয়ে সুমিকে তখনকার মতো ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিকেল চারটার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ফোন খোলা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তিনি রাজশাহী কোর্ট এলাকায় আছেন। বাজার থেকে আসার সময় ২০ টাকার একটা ভাড়া পেয়েছেন। এখন কিছু খাবেন। কিন্তু কোনো হোটেল খোলা পাচ্ছেন না। রাজশাহী কোর্টের পাশে একটা হোটেল খোলা থাকে, সেখানে যাচ্ছেন। কয়েক মিনিট পর তিনি ফোন করে জানান খাবার পেয়েছেন। করলা ভাজি দিয়ে এক প্লেট ভাত খাচ্ছেন।