ক্যান্সার আক্রান্ত পশু-পাখির মাংস কিনছেন কি না যেভাবে বুঝবেন

ক্যান্সার আক্রান্ত পশু-পাখির মাংস কিনছেন কি না যেভাবে বুঝবেন

দৈনন্দিন কর্মব্যস্ত জীবনযাত্রায় কখন, কী খাবার, কতটা নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত তা সবসময় মেনে চলা সম্ভব হয় না। তার মধ্যে যোগ হয়েছে ভেজাল খাবারের ভয়। খাদ্যে ভেজালের উপস্থিতি (বিষক্রিয়া) প্রতিদিনই আমাদের মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। তবে নিজেরাই যদি কিছু কিছু খাবার সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে কিনতে পারি, তা হলে এড়ানো যায় অনেক মারণরোগ।

যেমন- মাংস কেনার সময় একটু সচেতন থাকলেই বোঝা যাবে, যে মাংস কিনছেন, তা ক্যান্সার আক্রান্ত পশু বা পাখির কি না। কেনার সময় কী ধরনের সাবধানতা নিতে হবে-তা কিছু সহজ পদ্ধতিতেই দেখে নিতে পারি-

১. মাংস কেনার সময় প্রথমেই লক্ষ করুন তার রং। লালচে বা গোলাপি মাংস হলে ধরে নিতে হবে তা টাটকা। কিন্তু ধূসর মাংস মানেই তা বাসি। তবে লালচে বা গোলাপি মাংসের গায়ে হঠাৎ কোনো কোনো জায়গায় কিছুটা অংশ জুড়ে ধূসর বা ফ্যাকাশে রঙের কোনো দাগ আছে কি না লক্ষ করুন। তেমন দাগ থাকলে আগেই বাদ দিন সেই মাংস। সাধারণত ক্যান্সার আক্রান্ত পশুর মাংসে এই রকম দাগ দেখা যায়।

২. মাংস কেনার আগে ভালোমতো উল্টেপাল্টে দেখুন। বাড়তি বা অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ডের অস্তিত্ব থাকলে এই মাংসে ক্যানসার জাতীয় অসুখের বীজ থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই এড়িয়ে চলুন সেটিও।

৩. মাংসের কোনো অংশে কালচে কোনো দাগ থাকলে সচেতন হোন। এ ছাড়া অন্যান্য অসুখ ঠেকাতে সব ধরনের মাংসই বাড়িতে এনে ধোওয়ার পর কিছুক্ষণ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে মাংস নরমও হবে, তা ছাড়া কোনো ছোটখাটো সংক্রমণ থাকলে সেটাও এড়ানো যাবে। কিন্তু ক্যানসারের মতো বড় অসুখ ঠেকাতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে কোনো লাভ নেই। সে ক্ষেত্রে মাংসটি বাতিল করাই একমাত্র উপায়।

ক্যান্সার আক্রান্ত