ক্যান্সার থেকে পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে
ক্যান্সার , মরণ রোগের তালিকায় সর্বপ্রথম এই নামটিই মাথায় চলে আসে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জেনেটিক কারণে ক্যান্সার হতে পারে। বংশানুক্রমে ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে এই রোগ সুস্থ মানুষের দেহে দানা বাঁধতে পারে।
তবে একটু সচেতন হলেই ক্যানসারের মতো রোগকে প্রতিহত করা যায়৷ সেজন্য কিছু বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে।
এ বিষয়ে ভারতীয় ড: প্রমোদ কুমার জুলকা, সিনিয়র ডিরেক্টর (ওনকোলজি ডেভিস সেন্টার, ম্যাক্স সুপার স্প্যানিশ হাসপাতাল) তার এক বক্তব্যে বলেন, ক্যানসারের জন্য যদিও অনেক কারণ দায়ী যেগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হিসেবে থাকছে খাদ্যভ্যাস, লাইফস্টাইল ও শারীরিক কার্যকলাপের অভাব।
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ক্যান্সারের ধরন গুলো হলো:
একটি গবেষণা থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে, উত্তরাধিকার সূত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য অনেক কারণ থাকতে পারে। ব্রেস্ট ক্যান্সার, প্রসেস্ট ক্যানসার, ওভারিয়ান ক্যান্সার, কলোরেক্টাল ক্যান্সার এগুলো ছাড়াও আরো কিছু ধরনের ক্যানসার আছে যা নতুন প্রজন্মের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। দেহে কিছু অস্বাভাবিক কোষের উপস্থিতি ক্যানসারের রিস্ক বাড়াতে পারে। যা বাবা-মায়ের থেকে সন্তানদের মধ্যে আসতে পারে। যদি স্পার্ম সেলের জিন ক্যানসার এফেক্টেড হয় তবে সন্তানের দেহে মধ্যে ক্যানসারের প্রবণতাকে বাড়িয়ে তোলে। এই জিনগুলিকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ক্যানসারের জিন বলা হয়।
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ক্যানসার প্রতিরোধের উপায় গুলো হলো:
রেগুলার চেক আপ-ডক্টরদের মত অনুযায়ী, খুব কম বয়সেও ক্যানসার হতে পারে। রেগুলার চেক আপ অনেকটা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। রেগুলার চেক আপের ফলে ক্যানসার প্রথম স্টেজেই ধরা পড়ার চান্স থাকে। ফলে দ্রুত চিকিৎসা এবং সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। যদি পরিবারে কেউ ক্যানসারের আক্রান্ত হন তবে ৬ মাস অন্তর একবার চেক-আপ করানোর প্রয়োজন রয়েছে।
লাইফস্টাইল পরিবর্তন:
শরীরচর্চা ভীষণ জরুরি। লবণযুক্ত খাবার, জাঙ্ক ফুড সম্পূর্ণভাবে বর্জন করাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে, নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও জরুরি। এই ধরনের কিছু নিয়ম মেনে চললেই ক্যানসারকে অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। সর্তকতা-সবশেষে সর্তকতা। সাধারণ মানুষকে এই বিষয়টি সর্ম্পকে সচেতন করে তুলতে হবে। সকলের মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই ক্যানসার দূর হবে। তবে, সব ধরনের টিউমার ক্যানসার হয় না। অনেক ক্যানসার আছে যা প্রতিরোধযোগ্য। তার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা, সঠিক পদক্ষেপ।