গ্রিসের এথেন্সে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

প্রতি বছরের মতো এ বছরও গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এথেন্সের আন্তর্জাতিক খ্রিস্টমাস বাজারে অংশগ্রহণ করে। গ্রিসের সুপরিচিত সংগঠন ‌’ফ্রেন্ডস অব চিলড্রেন’ এই আন্তর্জাতিক বাজারের আয়োজন করে। ২৪ ও ২৫ নভেম্বর এথেন্সের হেলেক্সপোতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন মহাদেশের ৩৮টি দেশ অংশ নেয়।

এই আয়োজনে অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ তার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও কৃষ্টিকে তুলে ধরে যা অনুষ্ঠানে আগত হাজারো দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শাড়ি ও হস্তশিল্প সামগ্রীসহ দেশিয় বিভিন্ন পণ্য সম্ভারে সুসজ্জিত বাংলাদেশ স্টলের প্রতি দর্শকদের বাড়তি আকর্ষণ বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়।

দর্শকরা বাংলাদেশের সুস্বাদু খাবারের সাথে পরিচিত হবারও সুযোগ লাভ করে এবং বাংলাদেশের পর্যটন, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি সম্পর্কিত লিফলেট, পুস্তিকা ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে অবগত হয়। এ বছর মেলায় বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা বিদেশিদের কাছে দেশিয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে।

দর্শকদের অনেকে বাংলাদেশ সর্ম্পকে বিশেষত পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশ ভ্রমণে আগ্রহ প্রকাশ করে। দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত এই বাজারে বিদেশস্থ কূটনৈতিক, দেশ-বিদেশের সংবাদ মাধ্যম কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক গ্রিক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।

এই আয়োজনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা এবং বিশ্বসম্প্রদায়ক কর্তৃক সেই উন্নয়নের স্বীকৃতি বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি অনন্য স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে। হেলেক্সপোতে এই বিশেষ আয়োজনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গ্রিসবাসীর আরো কাছে আসার সুযোগ পেয়েছে।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, এ ধরনের প্লাটফর্ম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আবহমান বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ, ব্যবসা-বাণিজ্য সুবিধাদি এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আগত দর্শকদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হবার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এই আয়োজনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সর্ম্পকে কয়েকজন দর্শকের সাথে আলাপকালে জানা যায় যে তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য বিশেষত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিষয়ে জানার সুযোগ পেয়েছে। উদ্যোক্তাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে এ বছর বাজারে প্রায় দশ হাজার দর্শকের সমাগম ঘটে। গ্রিসের