ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে ক্ষতির ঝুঁকিতে ১০ কোটি মানুষ

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে ক্ষতির ঝুঁকিতে ১০ কোটি মানুষ

 

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতের আশঙ্কায় বাংলাদেশের পাশাপাশি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। শুক্রবার ভারতের দক্ষিণ-পূর্বের ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি। প্রাণহানির আশঙ্কায় এরই মধ্যে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েক লাখ বাসিন্দাকে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রবল শক্তি নিয়ে ওড়িশার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। এর প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়াতে বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

আবহাওয়াবিদদের ধারণা, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধারকর্মীদের। মজুদ রাখা হয়েছে জরুরি ওষুধ ও শুকনো খাবার।

প্রাণহানির আশঙ্কায় ভারতের পূর্ব-উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েক লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জনপ্রিয় পুরি সমুদ্র সৈকত থেকে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিশেষ ত্রাণ কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ শেঠী বলেন, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২৮টি দল বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন আছে। এছাড়া, ওড়িশায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ২০ দল আলাদাভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

শক্তিশালী রূপ নিয়ে শুক্রবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পূর্বাভাস দিলেও এরইমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব ভারতে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল।

এছাড়া পশ্চিমবঙ্গেও সতর্কতামূলক নানা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।