সৌরজগৎ ব্যবস্থা কীভাবে বিবর্বিত হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে পৃথিবী গ্রহে জীবনের উৎস সম্পর্কে ধারণা পেতে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও জাপানিজ স্পেস এজেন্সির মহাকাশযান হায়াবুসা-২ মিশনটি পরিচালনা করেছে। এএফপি জানায়, এবারের মিশনের লক্ষ্য হল মহাকাশের ওই গ্রহাণুর ভূ-অভ্যন্তরের অবস্থা সম্পর্কে গবেষণার জন্য এর পৃষ্ঠের উপর একটি কৃত্রিম গর্তের সৃষ্টি করা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এ অভিযান শুরু হয়। গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ৩৪ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জাপান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা বলছে, জাপান সময় শুক্রবার ১টার দিকে ২০ হাজার মিটার উচ্চতা থেকে হায়াবুসা-২ রিয়ুগুর দিকে এগিয়ে যায়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী মহাকাশ অনুসন্ধান যানটি গ্রহাণুটি থেকে ৫০০ মিটার উপরে থাকাকালীন একটি ‘স্মল ক্যারি অন ইমপ্যাক্টর’ বা আঘাতকারী বিস্ফোরক ছাড়ে।
৪০ মিনিট পর ইমপ্যাক্টরটি বিস্ফোরিত হয়ে গ্রহাণুটির গর্তমুখে একটি ধাতব বস্তু ছোড়ে, যেটি সেকেন্ডে ২ কিলোমিটার গতিতে রিয়ুগুর পৃষ্ঠে একটি কৃত্রিম গর্তের সৃষ্টি করে।
ওই গর্ত থেকে পাথরের নমুনা সংগ্রহের জন্য পরবর্তী কোনো দিনে রিয়ুগুর ভূমিতে দ্বিতীয়বারের মতো হায়াবুসা-২ এর অবতরণের পরিকল্পনা করছে জাক্সা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুসন্ধান যানটি প্রথম রিয়ুগুতে অবতরণ করে।
জাক্সা কর্মকর্তারা বলেছেন, সেসময়ও হায়াবুসা-২ রিয়ুগু থেকে পাথরের কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ পর হায়াবুসা-২ গ্রহাণুটি থেকে গবেষণার জন্য নমুনা সংগ্রহ করবে।
এসব নমুনা থেকে সৌরমণ্ডলের প্রাথমিক অবস্থায় পৃথিবী কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে সে সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যাবে বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের। তবে হায়াবুসার প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউচি টিশুদা বলেছেন, আমরা এতটুকুই বলতে পারি ইমপ্যাক্টরটি গ্রহাণুর পৃষ্ঠে আঘাত হেনেছে।
আমি মনে করি, আমরা সফল। এর চেয়ে বেশি আর কি-ই চাই।’