টিন স্বাস্থ্য : তুমি কি খুব রোগা? দেখে নাও কী করে ওজন বাড়াবে

বাড়তি ওজন যেমন একটা সমস্যা, তেমন অতিরিক্ত রোগা হওয়াটাও যে একটা সমস্যা সেই খেয়াল অনেকেরই থাকে না। তাই বেশিরভাগ জায়গাতেই থাকে রোগা হওয়া, মেদ ঝরানোর উপায়। যারা খুব রোগা তাদের সমস্যা যেন কোনও সমস্যাই নয়! তাই তোমরা যারা এই প্রবলেমে ভুগছ, এবং একটু ওজন বাড়িয়ে স্বাস্থ্য ভাল করতে চাইছ, তাদের জন্য রইল আজকের টিপস।

তুমি কি খুব রোগা? দেখে নাও কী করে ওজন বাড়াবে

বাড়তি ওজন যেমন একটা সমস্যা, তেমন অতিরিক্ত রোগা হওয়াটাও যে একটা সমস্যা, সেই খেয়াল অনেকেরই থাকে না। তাই বেশিরভাগ জায়গাতেই থাকে রোগা হওয়া, মেদ ঝরানোর উপায়। যারা খুব রোগা তাদের সমস্যা যেন কোনও সমস্যাই নয়! তাই তোমরা যারা এই প্রবলেমে ভুগছ, এবং একটু ওজন বাড়িয়ে স্বাস্থ্য ভাল করতে চাইছ, তাদের জন্য রইল আজকের টিপস।

  • সকালে উঠে বাদাম ও কিসমিস-

ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর কিসমিসের বিকল্পই নেই। রাতে ঘুমোনোর সময় আধ কাপ কাঠ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখো অল্প জলে। সকালে সেগুলো খেয়ে নাও। সকাল শুরু করো বাদাম ও কিসমিসের সঙ্গে।

  • খাবারের পরিমাণ বাড়াও-

খাবারের পরিমাণ বাড়ানো মানেই কিন্তু হাপুশ-হুপুশ করে একগাদা খেয়ে ফেলা নয়। আর সেটা সম্ভবও নয়। তুমি যদি কম খাওয়ার কারণে রোগা হয়ে থাকো, তা হলে খাবারের পরিমাণ তোমাকে বাড়াতেই হবে। স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকো, তার চারভাগের একভাগ পরিমাণ খাবার বাড়িয়ে খাও প্রতিদিন।

  • বারবার খাওয়ার অভ্যেস ছাড়ো-

অনেকেই ভাবে যে বারবার খেলে বুঝি ওজন বাড়বে। এটা মোটেও ঠিক না। বরং নিয়ম মেনে পেট ভরে খাও। পেট ভরে খাওয়া হলে মেটাবলিজ়ম হার কমে যায়, ফলে খাবারের ক্যালরির অনেকটাই বাড়তি ওজন হয়ে শরীরে জমবে। অল্প-অল্প করে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজ়ম বাড়িয়ে দেয়, ফলে ওজন কমে।

  • খাদ্য তালিকায় রাখো ডুবো তেলে ভাজা খাবার-

ডুবো তেলে ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক। তবে সঙ্গে রাখো প্রচুর তাজা শাক সবজির স্যালাড। কারণ মনে রেখো, তেলেভাজা খাবার কিন্তু খুব একটাও স্বাস্থ্যকর নয়।

  • জিমে যাওয়া অভ্যেস করো-

অবাক হয়ে গেলে পড়ে? ভাবছ জিমে মানুষ যায় ওজন কমাতে, বাড়ানোর জন্য কেন যাবে? কিন্তু আসল কথাটা হল, কেবল মোটা হলেই হবে না। সঙ্গে তৈরি করতে হবে সুগঠিত শরীর। তুমি জিমে যাবে পেশি তৈরি করতে। পেশির ওজন চর্বির চাইতে অনেক বেশি তো বটেই, তা ছাড়া ব্যায়ামের ফলে খিদেও পাবে আর মন ভরে খেতে পারবে। তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ট্রেনারের নির্দেশ মেনে ব্যায়াম কোরো। না হলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা।

  • ভাতের মাড় না ফেলে খাও-

মাড় ফেলে দিলে ভাতের স্টার্চের অনেকটাই চলে যায় মাড়ের সঙ্গে। ওজন বাড়াতে চাইলে এই মাড় না ফেলাই ভাল। এর ফলে ভীষণ উপকার হবে ওজন বাড়াতে।

  • ঘুমোনোর ঠিক আগেই দুধ ও মধু-

ওজন বাড়ানোর জন্য এটা একটা অব্যর্থ কৌশল। রাতে ঘুমোনোর আগে অবশ্যই বেশ পুষ্টিকর কিছু খাও। আর খিদে পেলে তো আয়েশ করে পেট পুরে খেয়ে নেবে। আর সঙ্গে-সঙ্গেই ঘুম। ফলে খাবারের ক্যালরিটা খরচ হওয়ার সময় পাবে না, বাড়তি ওজন হিসেবে জমবে শরীরে। ঘুমোনোর আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন দুধের মধ্যে বেশ অনেকটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নেবে।

  • কমাও মেটাবলিজ়ম হার-

মোটা হওয়ার পিছনে যেমন ধীর গতির মেটাবলিজ়ম দায়ী, তেমনি রুগ্ন স্বাস্থ্যের পিছনে দায়ী উচ্চ মেটাবলিজ়ম হার। সুতরাং মোটা হতে গেলে প্রথমেই এই মেটাবলিজ়ম হার কমাতে হবে। তাতে তুমি যে খাবারটা খাবে, সেটা বাড়তি ওজন হয়ে তোমার শরীরে জমার সুযোগ পাবে। মেটাবলিজ়ম হার কম রাখার জন্য প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময় বিশ্রাম করো। খাবার পর কমপক্ষে একঘণ্টা কোনও কাজ কোরো না।

  • খাদ্যতালিকায় যোগ করো কিছু বিশেষ খাবার-

তোমার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন খাবার যোগ করতে হবে খাদ্য তালিকায়, না হলে ওজন বাড়বে কেন? উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে এই খাবারগুলো খেতে পার অনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম, চিজ়/ পনির, সফ্ট ড্রিঙ্কস, মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকোলেট, মেয়োনিজ় ইত্যাদি।

  • খাও প্রচুর শাক সবজি ও ফল-

ভাবছ এগুলো তো ওজন কমানোর জন্য খাওয়া হয়, তাই না? ওজন বাড়াতেও কিন্তু তোমাকে সাহায্য করবে এই ফল আর সবজি। এমন অনেক ফল আর সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ ক্যালরি যুক্ত। যেমন- আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়ো, মিষ্টি আলু, কাঁচকলা ইত্যাদি। ফল ও সবজি খেলে স্বাস্থ্য যেমন ভাল থাকবে, তেমনই ওজনও বাড়বে। যদি এইসব করেও তোমার ওজন না বাড়ে, তা হলে অবশ্যই একজন ভাল ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করো। কারণ কোনও অসুখ থাকলেও তার ফলে রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্য হতে পারে তোমার।