জিমে যাওয়ার আগে বা পরেই ভুলভাল খেয়ে ফেলছ না তো?
জিমে গেলে, প্রচুর গা ঘামালে৷ বেরিয়েই খুব খিদে পেল আর ওমনি তুমি ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রচুর খেয়ে ফেললে৷ অথবা জিমে ঢোকার ঠিক আগেই গোটা দুই এনার্জি বার আর এক প্যাকেট বিস্কিট খেয়ে নিলে— এই যদি তোমার রুটিন হয়, তা হলে ওজন কমা মুশকিল আছে৷ ঠিক কতটা ক্যালরি তোমার রোজকার কাজকর্ম ও ব্যায়ামে খরচ হচ্ছে, আর কতটা খাবারের মাধ্যমে ঢুকছে, তার একটা পরিষ্কার হিসেব তোমার কাছে থাকা উচিত৷
লাগাতার ইনটেন্স কার্ডিও ওয়ার্কআউট করে যাচ্ছ?
শুধু কার্ডিও করলে কিন্তু বিশেষ লাভ পাবে না, অনেকদিন টানা কার্ডিও করে গেলে লাভের চেয়ে উলটে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি৷ তাতে মাসল মাস কমতে থাকে, যখন তুমি ব্যায়াম করছ না, তখনও কম ক্যালরি পোড়ে৷ এর ফলে সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগবে, হুটহাট কোনও চোটও লেগে যেতে পারে৷
যথেষ্ট ঘুমোচ্ছ তো?
শরীরকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেওয়াটাও কিন্তু ভীষণ জরুরি৷ বিশ্রাম না পেলে তোমার হাড় এবং জয়েন্টের শক্তি বাড়বে না৷ তা ছাড়া ঘুমের পরিমাণ কোনও কারণে কমে গেলে ব্যায়াম করার সময় তোমার আঘাত পাওয়ার আশঙ্কাও বাড়বে৷ যারা ডায়েটিং করো, ঘুম না হলে তাদের বারবার খিদে পাওয়ার সমস্যাও দেখা দেবে৷
অতিরিক্ত পরিমাণে স্ট্রেংথ ট্রেনিং করছ?
যে মাসলগুলির শক্তি বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করছ, সেই মাসলগুলিকে যথেষ্ট বিশ্রামও দিতে হবে৷ তাই স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের সঙ্গে অন্য নানা ধরনের ব্যায়াম মিলিয়ে-মিশিয়ে করার পরামর্শ দেওয়া হয় সব সময়৷ লাগাতার একই পেশির উপর ব্যায়ামের চাপ পড়লে একদিকে যেমন শক্তি কমবে, তেমনই চোট-আঘাতও লাগতে পারে৷
মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেসের চাপ নিতে পারছ না?
স্ট্রেসের কারণে শরীরে কর্টিসোল নামে এক ধরনের হরমোন তৈরি হয়৷ তার প্রভাবে ওজন বাড়তে পারে, কারণ এই হরমোনের জন্য খিদে পায় এবং হাতের কাছে সহজলভ্য জাঙ্ক ফুডই খেলে ফেল তুমি৷ তাই স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করো৷
সকালে কম খাচ্ছ?
সারাদিনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল সকালের খাবার। সকালে পুষ্টিকর খাবার খেলে সারাদিন কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়। যদি মনে করো ওজন ঠিক রাখতে সকালেও কম খাবে, তা হলে সেটা কিন্তু ভীষণ ভুল!
সালাদ-মসলা দুটোই চলে?
রেস্তঁরাতে স্যালাড অর্ডার করো, ভাল কথা। কিন্তু গোলমালটা বাঁধে যখন সঙ্গে চাও বারবিকিউ সস। এই অল্প পরিমাণ মশলাতেও আছে অনেকটা ক্যালরি। তাই স্যালাডের সঙ্গে সসের মিশেল ছাড়ো।