পুষ্টি
স্লিম ফিগার আর ত্বক সুরক্ষায়
ডিটক্স ওয়াটার
ডিটক্স ওয়াটার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। এটি খুব সহজে বানানো এক ধরনের পানীয়, যা শরীরের দূষিত পদার্থ বের করতে এবং শরীরের মেদ দূর করে ওজন কমিয়ে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে তা হজমের সমস্যা, দুর্বলতা, ফোলা, বমির ভাব দূর করা, মুড ঠিক রাখা, ত্বকের সমস্যা দূর করাসহ নানা কাজে বেশ উপকারী পানীয়। এটি দেহের শক্তি বাড়াতে, লিভার পরিষ্কার করতে, ওজন কমাতে, প্রদাহ কমাতে ও ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় বেশ উপকারী।
সাধারণত ঠাণ্ডা পানিতে যেকোনো ফল অথবা উপকারী হার্বস, সবজি বড় বড় করে কেটে বেশ খানিকক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে যে মিশ্রণ পাওয়া যায়, সেটিই ডিটক্স ওয়াটার। ফল বা সবজি ডুবানো এই পানিতে কোনো সুগার বা ক্যালরি থাকে না, এর ফ্লেভারও ভালো। চাইলে কেউ প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করে নিতে পারেন।
উপকারিতা
পরিপূর্ণ ডায়েটের অংশ হিসেবে ডিটক্স ওয়াটার বেশ উপকারী। যেমন—
♦ এই পানীয় শরীরের দূষিত পদার্থ বা টক্সিন দ্রুত বের করতে সহায়তা করে।
♦ শরীরের ফ্যাট সেলগুলো নিষ্কাশন করে।
♦ খাবার হজমে সহায়তা করে ও শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ভালো রাখে।
♦ ব্যায়ামের ফলে তৈরি হওয়া শারীরিক অবসাদ দূর করে।
♦ নিয়মিত খেলে এক মাসের মধ্যেই ওজন কমায়।
♦ ত্বক সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়।
♦ নিজেকে খুব এনার্জিটিক আর ফ্রেশ লাগে।
♦ এই পানি পানের ফলে জাংকফুড খাওয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ফলের স্বাদ থাকার কারণে সুগার ক্রেভিং বা মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দেয়।
কিভাবে বানাবেন?
বড় মুখের একটি জার বা কাচের বোতল ৫০০ মিলি পানি দিয়ে ভর্তি করে তাতে বিভিন্ন রসালো ফল যেমন—আঙুর, আপেল, তরমুজ, স্লাইস করা কমলালেবু, শসা (ছোট ছোট স্লাইস, কিন্তু খোসা ছাড়ানো নয়) ইত্যাদি কুচি করে এর মধ্যে রাখুন। এরপর জারটি ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘণ্টার জন্য। এটা তৈরি হতে খুব বেশি হলে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগে। রাতে ঘুমানোর আগে মিশ্রণটা ফ্রিজে রেখে দিলে সকালেই তৈরি হয়ে যাবে ডিটক্স। যদি কালো জামের মতো ফল দেওয়া হয়, তাহলে চামচ দিয়ে সামান্য ক্রাশ করে দিলে ভালো। এতে আঁশ ও ফলের রস দুটিই পানিতে মিশতে পারে। সুগন্ধির জন্য এর মধ্যে পুদিনাপাতাও দেওয়া যেতে পারে। তবে কী ফল দিতে হবে, সেটা নির্ভর করে কারো রুচি আর পছন্দের ওপর। তবে সিজনাল ফল দিলে বেশি উপকারিতা মেলে। একবার বানিয়ে রাখলে দু-তিন দিন অনায়াসে তা খাওয়া যায়। ইচ্ছা করলে দুই দিনের জন্য বানিয়ে ফ্রিজে রেখেও দেওয়া যেতে পারে। সব সময় বহন করাও যায়।
নিয়মাবলি
সাধারণত খাবারের আগে বা খালি পেটে ডিটক্স পানীয় পান করা ভালো। দিনে এক লিটারের মতো এই পানীয় পান করা যেতে পারে।
লেখক : পুষ্টিবিদ, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা, ঢাকা।
স্লিম ফিগার আর ত্বক সুরক্ষায়
ডিটক্স ওয়াটার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। এটি খুব সহজে বানানো এক ধরনের পানীয়, যা শরীরের দূষিত পদার্থ বের করতে এবং শরীরের মেদ দূর করে ওজন কমিয়ে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে তা হজমের সমস্যা, দুর্বলতা, ফোলা, বমির ভাব দূর করা, মুড ঠিক রাখা, ত্বকের সমস্যা দূর করাসহ নানা কাজে বেশ উপকারী পানীয়। এটি দেহের শক্তি বাড়াতে, লিভার পরিষ্কার করতে, ওজন কমাতে, প্রদাহ কমাতে ও ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় বেশ উপকারী।
সাধারণত ঠাণ্ডা পানিতে যেকোনো ফল অথবা উপকারী হার্বস, সবজি বড় বড় করে কেটে বেশ খানিকক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে যে মিশ্রণ পাওয়া যায়, সেটিই ডিটক্স ওয়াটার। ফল বা সবজি ডুবানো এই পানিতে কোনো সুগার বা ক্যালরি থাকে না, এর ফ্লেভারও ভালো। চাইলে কেউ প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করে নিতে পারেন।
উপকারিতা
পরিপূর্ণ ডায়েটের অংশ হিসেবে ডিটক্স ওয়াটার বেশ উপকারী। যেমন—
♦ এই পানীয় শরীরের দূষিত পদার্থ বা টক্সিন দ্রুত বের করতে সহায়তা করে।
♦ শরীরের ফ্যাট সেলগুলো নিষ্কাশন করে।
♦ খাবার হজমে সহায়তা করে ও শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ভালো রাখে।
♦ ব্যায়ামের ফলে তৈরি হওয়া শারীরিক অবসাদ দূর করে।
♦ নিয়মিত খেলে এক মাসের মধ্যেই ওজন কমায়।
♦ ত্বক সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়।
♦ নিজেকে খুব এনার্জিটিক আর ফ্রেশ লাগে।
♦ এই পানি পানের ফলে জাংকফুড খাওয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ফলের স্বাদ থাকার কারণে সুগার ক্রেভিং বা মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দেয়।
কিভাবে বানাবেন?
বড় মুখের একটি জার বা কাচের বোতল ৫০০ মিলি পানি দিয়ে ভর্তি করে তাতে বিভিন্ন রসালো ফল যেমন—আঙুর, আপেল, তরমুজ, স্লাইস করা কমলালেবু, শসা (ছোট ছোট স্লাইস, কিন্তু খোসা ছাড়ানো নয়) ইত্যাদি কুচি করে এর মধ্যে রাখুন। এরপর জারটি ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘণ্টার জন্য। এটা তৈরি হতে খুব বেশি হলে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগে। রাতে ঘুমানোর আগে মিশ্রণটা ফ্রিজে রেখে দিলে সকালেই তৈরি হয়ে যাবে ডিটক্স। যদি কালো জামের মতো ফল দেওয়া হয়, তাহলে চামচ দিয়ে সামান্য ক্রাশ করে দিলে ভালো। এতে আঁশ ও ফলের রস দুটিই পানিতে মিশতে পারে। সুগন্ধির জন্য এর মধ্যে পুদিনাপাতাও দেওয়া যেতে পারে। তবে কী ফল দিতে হবে, সেটা নির্ভর করে কারো রুচি আর পছন্দের ওপর। তবে সিজনাল ফল দিলে বেশি উপকারিতা মেলে। একবার বানিয়ে রাখলে দু-তিন দিন অনায়াসে তা খাওয়া যায়। ইচ্ছা করলে দুই দিনের জন্য বানিয়ে ফ্রিজে রেখেও দেওয়া যেতে পারে। সব সময় বহন করাও যায়।
নিয়মাবলি
সাধারণত খাবারের আগে বা খালি পেটে ডিটক্স পানীয় পান করা ভালো। দিনে এক লিটারের মতো এই পানীয় পান করা যেতে পারে।
লেখক : পুষ্টিবিদ, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা, ঢাকা।
https://www.youtube.com/watch?v=Geg0SPadJxM&feature=youtu.be&fbclid=IwAR2HglGA9JSXIEbcvEWF0-NSYX9OzQEZymVGMbPrRjOZLDTmhxxrotcebkA