ডেঙ্গুজ্বরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও কর্মজীবীগণ

ডেঙ্গুজ্বরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও কর্মজীবীরা। শিশুরা নিজ বাসায়, স্কুলে এবং কর্মজীবীরা কর্মক্ষেত্রে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, রোববার ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৯ জন শিশু ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। বিজিবি হাসপাতালে তিন জন ও পুলিশ হাসপাতালে ২১ জন পুলিশ ভর্তি হয়েছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৯৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে ৭৫২ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। বিজিবি হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩০৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে।

রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন চিকিৎসক ও ২২ নার্স ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।

রাজধানীর স্কুলগুলো ঘুরে জানা যায়, স্কুলগুলো ডেঙ্গু প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
অভিভাবকরা জানান, তাদের সন্তানেরা স্কুলে গিয়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে।


এদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্কুল নিয়মিত পরিস্কার করছেন। লেক সার্কাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল জানান, তাদের স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্র মো. মাহিনুর ইসলাম গত ১৬ জুলাই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এরপর থেকে তারা নিয়মিত স্কুলের শ্রেণিকক্ষসহ আশেপাশের জায়গাগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছেন এবং স্প্রে করছেন। গত ২৮ জুলাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের নিয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করতে শোভাযাত্রাও করেন তারা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু সংক্রান্ত সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন।

নিউ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আইরিন আক্তার ফাতেমা বলেন, আমরা স্কুল থেকে ডেঙ্গু সচেতনতায় স্কুল পরিস্কার করেছি। তবে, আমাদের স্কুলে কোনো মশার ওষুধ দেয়নি কেউ।

ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পারভীন আক্তার বলেন, ক্লাস শুরুর আগে স্প্রে করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠানো হয়েছে। সকাল-বিকাল স্কুলে মশার স্প্রে করা হয়। তাদের ডেঙ্গুর ব্যাপারে সচেতন করতে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।