বিয়েতে রাজকন্যার বেশে প্রিয়াঙ্কা

গেল গ্রীষ্মে নিক জোনাস যখন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে প্রেম নিবেদন করেন, তখনই তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, ধর্ম, সংস্কার আর পরিবার মিলে-মিশে একাকার হয়ে যাবে তাঁদের। সেই থেকেই স্বপ্নের শুরু, রাজকন্যা ও রাজপুত্র সাজবেন দুজন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে দুই তারকার। আজ মঙ্গলবার বেরিয়েছে আলোচিত সেই বিয়ের কিছু ছবি। কেবল পিপল ডটকমকে দেওয়া সেই ছবি দেখেই বুঝে নেওয়া যায়, কী অসাধারণ ছিল তাঁদের বিয়ের আয়োজন।

হিন্দু রীতিতে বিয়ের পর নিক জোনাস ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়াহিন্দু রীতিতে বিয়ের পর নিক জোনাস ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়াপিপলকে একান্ত এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘বিয়ের দিন সব মেয়েই চান, তাঁকে যেন রাজকন্যার মতো দেখায়। কিন্তু এ নিয়ে আমার কোনো পরিকল্পনা ছিল না।’ অন্যদিকে নিক বলেছেন, ‘বড় করে স্বপ্নটা বেঁধেছিলাম আমরা। সে জন্য একটি নয়, দুটি অনুষ্ঠান করেছি। যেহেতু দুজন দুই সংস্কৃতির মানুষ আমরা, তাই সেটা ছিল অপরিহার্য।’

খ্রিষ্টান রীতিতে বিয়ের পর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাসখ্রিষ্টান রীতিতে বিয়ের পর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাসবিশেষ বলতে যা বোঝায়, প্রিয়াঙ্কা-নিকের বিয়ে ছিল তাই। মাত্র ২২৫ জন অতিথি ছিলেন সেদিন। বরপক্ষ ও কনেপক্ষের নিকট আত্মীয়রা তাঁদের মধ্যে অন্যতম। আর এ বিয়ের পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান আবু জান সন্দীপ খোসলা অ্যান্ড মাতওয়ানে এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড ওয়েডিংস। এ দুই উদ্যোক্তাই ঠিক করেছেন বিয়ের অতিথিসংখ্যা, খাবার, ফুলের রং আর সজ্জা থেকে সবকিছু।

বিয়ের মণ্ডপে নিক জোনাসের কীর্তি দেখে হাসি যেন আর থামছে না প্রিয়াঙ্কাচোপড়ার বিয়ের মণ্ডপে নিক জোনাসের কীর্তি দেখে হাসি যেন আর থামছে না প্রিয়াঙ্কা চোপড়ারপয়লা ডিসেম্বর মেহেদি ও সংগীতপর্ব শেষে পরিবারের সবাই মিলে নাচ-গান করেন প্রিয়াঙ্কারা। সেখানেও ছিল ভিন্ন কস্টিউম ও কোরিওগ্রাফি; নায়িকার বিয়ে বলে কথা! রাজস্থানের যোধপুর উমেদ ভবন প্যালেসের উঠানে পশ্চিমা কায়দায় পরে হয়েছে তাঁদের বিয়ে। যেন অতিকায় এক প্রাসাদের উঠানে সত্যিকারের রাজকন্যাকে তুলে দেওয়া হচ্ছে এক সত্যিকারের রাজপুত্রের হাতে।

প্রিয়াঙ্কাচোপড়ার হাতে চুমু দেন নিক জোনাসপ্রিয়াঙ্কা চোপড়ার হাতে চুমু দেন নিক জোনাসপ্রিয়াঙ্কার পরনে সেদিন ছিল শুভ্র-স্বচ্ছ এক গাউন, যেটার ঘোমটাই ছিল ৭৫ ফুট। পেছনে দুই পাশ থেকে ছয়জন সেই ঘোমটা ধরেছিলেন। হাত ধরে মা মধু চোপড়া তাঁকে নিয়ে যান বিয়ের মঞ্চে। ২০১৩ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা না গেলে, বাবা অশোক চোপড়াও থাকতেন মেয়ের অন্য হাত ধরে। বাবার অভাব অনুভব করছিলেন বলেই হয়তো ফুলের তোড়া হাতে প্রচুর কেঁদেছেন প্রিয়াঙ্কা। বলছিলেন, ‘ফুলের ছোট্ট তোড়াটাও ধরে রাখতে পারছিলাম না। যেন ভীষণ দুর্বল আর ভয় লাগছিল আমার। কিন্তু যখনই চোখের সামনে থেকে পর্দাটা সরিয়ে ফেলা হলো, ওর মুখটা দেখে মনে হলো, সব ঠিক হয়ে গেছে। আমি জীবনের সেরা সিদ্ধান্তটাই যেন নিয়েছি।’

বিয়ের পর ছবি তোলার পালাবিয়ের পর ছবি তোলার পালাওই মুহূর্তে কেমন লাগছিল নিক জোনাসের? নিক বলেন, ‘তুঙ্গস্পর্শী রোমাঞ্চকর! মূলত যখন খ্রিষ্টান রীতিতে বিয়েটা হচ্ছিল। ভাবতেই পারছিলাম না যে, এত ভালোভাবে সবকিছু হয়ে যাবে। চরম আবেগময় এক মুহূর্ত!’

নতুন বউ প্রিয়াঙ্কা চোপড়ানতুন বউ প্রিয়াঙ্কাচোপড়াহিন্দু রীতিতেও অনুষ্ঠিত হয় প্রিয়াঙ্কা-নিকের বিয়ে। প্রিয়াঙ্কা এ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘সুন্দর এক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে আমরা বেড়ে উঠেছি। সেসব নিয়মের মধ্য দিয়েই আমাদের বিয়েটা হয়েছে, এ জন্য আমি ভীষণ আনন্দিত। দুই ধর্ম ও বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে এমন একটা সম্মানজনক ও অর্থবহ অনুষ্ঠান করা গেছে, এটা অবিশ্বাস্য।’