মন ভালো করবে দই! জানতে চান কিভাবে?

মন ভালো করবে দই! জানতে চান কিভাবে?

সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মন খারাপের সময় একগ্লাস দই খেলেই উপকার সাথে সাথে পাওয়া যাবে। মনের মধ্যে থাকা দুঃখের বিষ তো তাড়াবেই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের ভেতর বেশ কিছু ক্যামিকেলের ক্ষরণের কারণে নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে।  গবেষকরা লক্ষ করে দেখেছেন দইয়ে উপস্থিত ল্যাক্টোব্যাসিলাস, সহজ কথায় উপকারি ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকা মাইক্রোবায়োমের চরিত্র এমনভাবে বদলে দেয় যে ডিপ্রেশন দূরে পালায়। এখানেই শেষ নয়, ডিপ্রেশন বা মন খারাপ তখনই হয়, যখন মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রেও দই বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মন খারাপ করা হরমোনকে আক্রমণ করতে “ফিল গুড” হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ধীরে ধীরে মন খারাপ কমতে শুরু করে।  অন্যান্য বেশ কিছু গবেষণাতে দেখা গেছে পাকস্থলীতে উপস্থিত মাইক্রোবায়োম মেন্টাল হেল্থের ভাল-মন্দের সঙ্গে অতোপ্রতোভাবে জড়িত। তাই তো দই এবং মন বা মস্তিষ্কের সম্পর্কটাকেও অস্বীকার করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়।

মন ভালো ছাড়াও আরও উপকারিতা

১.হাড়কে শক্তপোক্ত করে:

একগ্লাস দই খেলে শরীরে প্রায় ৩০০ গ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রবেশ ঘটে। এই পরিমাণ ক্যালসিয়াম যদি প্রতিদিন শরীর পেতে থাকে, তাহলে হাড় এত শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে কোনও ধরনের হাড়ের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষারও সুযোগ পায় না।

 

২. ওজন কমায়:

নতুন বছরে ওজন কমানো যদি আপনার প্রথম এজেন্ডা হয়, তাহলে এখন থেকেই নিয়মিত দই খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। কারণ এই দুগ্ধজাত খাবারটিতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিক উপাদান শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেলেদের গলাতে শুরু করে। ফলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না।

 

৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে:

দইয়ে উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর সোডিয়ামের আধিক্য কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। শরীরে নুনের পরিমাণ বাড়তে থাকলে ওয়াটার রিটেনশন বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে।

 

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

সুস্থভাবে দীর্ঘদিন যদি বাঁচতে চান, তাহলে রোজের ডায়েটে দইয়ের অন্তর্ভুক্তি ঘটানো মাস্ট! কারণ দইয়ে উপস্থিত বেশ কিছু উপাকারি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।

 

৫. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত থাকে উপকারি ব্যাকটেরিয়া, যা পাকস্থলির কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি যদি খাদ্যরসিক হয়ে থাকেন, তাহলে রোজ একগ্লাস করে দই খেতে ভুলবেন না যেন!

টিপসফিটনেসস্বাস্থ্য