দেখা গেল, মৃত্যুপথযাত্রী ওই গ্রহাণুটির শরীর থেকে বেরিয়ে আসছে তার ‘হাড়-মাংস-অস্থি-মজ্জা’। ভেঙে যাচ্ছে তার শরীর, খুব দ্রুত। আর শরীর ছেড়ে বেরিয়ে আসা অংশগুলো মহাকাশে তৈরি করছে লেজ। একেবারে ধূমকেতুর মতোই। তবে সেই লেজ একটি নয়, দুটি।
মহাকাশে থাকা নাসার টেলিস্কোপ হাবেলর দেখা সেই মৃত্যু দৃশ্যের খুঁটিনাটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’-এ। হাব্ল যে সেই গ্রহাণুর মৃত্যু দৃশ্য দেখেছে তার নাম ‘অ্যাস্টারয়েড ৬৪৭৮ গল্ট’। ভগ্নস্বাস্থ্য সেই গ্রহাণুটি আছে সূর্য থেকে ২১ কোটি ৪০ লাখ মাইল বা ৩৪ কোটি ৪০ লাখ কিলোমিটার দূরে।
গ্রহাণুটির ওপর যাঁরা নজর রেখেছিলেন, তাঁদের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী কুমার রঙ্গনাথ বলেন, ‘যে দুটি লেজ দেখা গেছে গ্রহাণুটির, তার একটি লম্বায় পাঁচ লাখ মাইল বা আট লাখ কিলোমিটার। চওড়ায় সেটি তিন হাজার মাইল বা চার হাজার ৮০০ কিলোমিটার। যে লেজটি আকারে ছোট, লম্বায় সেটি এক লাখ ২৫ হাজার মাইল বা দুই লাখ কিলোমিটার।’
আড়াই মাইল বা চার কিলোমিটার চওড়া গ্রহাণু ‘গল্ট’র কথা প্রথম জানা গিয়েছিল ১৯৮৮ সালে। কিন্তু তখন তাকে আর পাঁচটা সাধারণ গ্রহাণুর মতোই একটি পাথুরে মহাজাগতিক বস্তু হিসেবেই মনে করেছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তার কোনো লেজের কথা তখন জানা যায়নি। সূত্র : আনন্দবাজার।