থার্টিন ডেজ নাটকের গল্পে দেখা যায়, পিয়ানার সাথে মিশুর পরিচয় বাসর রাতে। তাদের এরেনজ ম্যারেজ। মিশুর একটা জেদ ছিল বিয়ের আগে পাত্রীকে দেখবে না। মা যাকে ভালো মনে করে তার সাথে বিয়ে দেয় তাকেই বিয়ে করবে। মায়ের পছন্দ মতো পিয়ানাকে বিয়ে করে বাসর রাতে পরিচিত হয় মিশু। পিয়ানার অবশ্য ইচ্ছা ছিল, বিয়ের আগে হবু স্বামীকে একটু চিনবে, জানবে। সেটা মিশুর অনাগ্রহের কারণে হয়ে ওঠেনি। তাই বাসর রাতে কথার ঝাঁপি খুলে দেয় দুজনেই। তারা ভালো স্বামী স্ত্রী হতে পারবে কিনা ঠিক না হলেও ভালো বন্ধু হয়ে যায় সে রাতেই। তাই মিশুর সম্পর্কে পিয়ানার ধারনা, নিশ্চয়ই মিশু বিয়ের আগে কারো কাছে বড় ধরনের ছ্যাকা খেয়েছে বলে নিজের হবু স্ত্রীর মুখও দেখতে চায় নি।
মিশু অবশ্য সে ধারণা ভেঙে দেয়। পিয়ানা অকপটে স্বীকার করে, তার একটা প্রেম ছিল। কিন্তু বেশিদিন টেকে নি। বিয়ের পরে যথারীতি হানিমুন। কক্সবাজারে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। বিয়ের ১৩ দিনের মাথায় যাত্রাপথে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পিয়ানার মৃত্যু হয়। ভেঙে পড়ে মিশু। কারণ মাত্র ১৩ দিনেই সত্যিকারের ভালোবেসেছিল তাকে। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব , অফিসের সহকর্মীদের চাপেই আবার বিয়ে করতে বাধ্য হয় মিশু। দ্বিতীয় স্ত্রী নীলা মিশুকে গ্রহণ করলেও গভীর আনন্দে। তবু সমস্যা শুরু হল। সেই সমস্যা ভয়ংকর।
এ সম্পর্কে নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু বলেন, ‘প্যারা সাইকোলজিক্যাল আবহের নাটক থার্টিন ডে’জ যা আমাদের জীবন সম্পর্কে নতুন করে ভাবায়। নাটকটি শিগগিরই গাজী টিভিতে প্রচার হবে।’