শীতার্তদের কম্বল বিতরণ করলো ‘স্বপ্নছায়া’

তাসনিম, সদস্য, স্বপ্নছায়া
শীতার্তকে কম্বল পরিয়ে দিচ্ছে স্বপ্নছায়ার স্বেচ্ছাসেবক
রক্তিম সূর্য তখনও চোখ মেলেনি,,তবে একদল কিশোর কিশোরীরা প্রচন্ড শীতেও নিজেদেরকে একত্র করেছে,, লক্ষ্য একটাই, কিছু অসহায় মানুষ এর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মনের কথাগুলো শোনা,, তাদের দুঃখগুলো ভাগাভাগি করে নেয়া এবং এই প্রচন্ড শীতে তাদের শীতবস্ত্র সাহায্য করা।।তাইতো এই দলটি স্বপ্নছায়া হয়ে গন্তব্যহীন পথটি ধরে চলা শুরু করলো। বিতরণ করলো কম্বল ।
আমরা স্বপ্নছায়ার দল আল্লাহর অশেষ রহমতে দীর্ঘ ৩ ঘন্টা যাবৎ খিলগাঁও,,শাহজাহানপুর,,মতিঝিল ইত্যাদি সংলগ্ন এলাকাগুলোতে প্রায় ৭০ টির মতো কম্বল এবং বেশ কিছু কাপড়চোপড় বিতরণ করি।।বিতরণ এর সময় যখন এই অসহায় মানুষ গুলোর প্রানবন্ত হাসিটা দেখেছি,,তখন প্রত্যেকেই ছেয়ে গেছি,,এই হাসিগুলো কোনো স্বপ্নপুরির পরীদের নয় কিংবা রুপকথার রাজকুমার এর নয়,,তবুও এই হাসিগুলো আমাদের সবাইকে বেশ মুগ্ধ করেছে।।একদিকে যেমন তাদের প্রানবন্ত হাসিটা দেখেছি তেমনি আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখেছি।।এই কান্নাগুলোও আমাদের আরো বেশি ভাবিয়ে তুলেছে,,আরও বেশি অনুপ্রাণিত করেছে।।তবে সবশেষে আলহামদুলিল্লাহ বলতেই হয়।।
এটি স্বপ্নছায়ার প্রথম কার্যক্রম ছিলো,, যা খুবই ছোটো পরিসরে ছিলো এবং খুবই সামান্য।। তবে ইনশাআল্লাহ আমরা সামনে থেকে আরও বড় পরিসরে কাজ করার চেষ্টা করবো।।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমাদের ‘স্বপ্নছায়া’ এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ!আমাদের পুরোপুরি বিশ্বাস রয়েছে যে সবাই যদি নিজেদের অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করি তবেই বদলে যাবে আমাদের সোনার বাংলাদেশ।।
অসহায়ত্বর কালো রাত শেষে সাম্যের শিউলি ফুটবেই।।অসহায়ত্বর কালো মেঘ ভেদে সাম্যের সূর্য জাগবেই।।
আমাদের পাশে থেকে আপনার সাহায্য আমাদের একান্তই কাম্য!!তবে সেটার চেয়ে বোধহয় সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনাটাই বড়।।