সন্তানকে বিপদে ফেলছেন না তো? এগুলো অবশ্যই নজরে রাখুন

সন্তান অভিভাবকের অমূল্য সম্পদ। তাই তার নিরাপত্তার দিকটিও মা-বাবার কাছে সমান গুরুত্বের। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষ সন্তানকে নিরাপদ রাখতে চান সকলেই। আধুনিক জীবনযাত্রায় মা-বাবা উভয়েই ব্যস্ত থাকায় অনেক শিশুকে দিনের অনেকটা সময় অন্য কারও সান্নিধ্যে কাটাতে হয়। তাই শৈশব থেকেই তাদের নিরাপদ থাকার পাঠ দিন।

পথ চলার সহজ পাঠ দিয়েই শুরু করুন শিশুর নিরাপত্তার শিক্ষা। পথ চলার নিয়ম, রাস্তার দু’দিক দেখে পেরনো, সিগন্যালিং সিস্টেম, ট্রেনে চড়ার ক্ষেত্রে কী করবে আর কী করবে না— সবটাই ছেলেবেলা থেকেই শিখিয়ে দিন তাকে। কখনও ট্রেন বা বাসে কোনও সমস্যায় পড়লে কী করবে তাও বলে রাখুন।

একা একা কোথাও ঘুরে বেড়ানোর বিষয়েও শৈশবে সাবধান করুন তাকে। পরে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে ছেড়ে দেখুন, সে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে কি না। একা ছাড়তে হলেও প্রথমাবস্থায় একটু দূরত্ব রেখে তাকে অনুসরণ আপনি। তার মধ্যে একা পথ চলার সাহস ও বিশ্বাস এসেছে বুঝলে তবেই একা ছাড়ুন।
যে বিদ্যালয়ে সন্তানকে ভর্তি করছেন, সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মী সকলকেই চিনে রাখুন। বিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন প্রায়ই। সেখানে কোনও রকম হেনস্তার শিকার যেন সন্তান না হয়, সে দিকে নজর রাখুন। সন্তান যদি পুল কার বা স্কুল বাসে যাতায়াত করে, সে ক্ষেত্রেও যোগাযোগ রাখুন কর্মীদের সঙ্গে।
কোন মানুষকে সে বিশ্বাস করতে পারে, কার থেকে থাকতে হবে সচেতন— এ বিষয়ে তাকে ছেলেবেলা থেকেই সচেতন করুন। অপরিচিত কারও থেকে জিনিস বা খাবার নেওয়ার স্বভাব থাকলে তা বদলান দ্রুত।
অনেক সময় পরিস্থিতির চাপে সন্তানকে একা রেখেও বেরতে হয়। সে ক্ষেত্রে বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দিন, প্রতিবেশীকে তার উপর খেয়াল রাখার অনুরোধ করুন। একা থাকাকালীন কোনও অসুবিধা হলে কী ভাবে কার সঙ্গে যোগাযোগ করবে তাও স্পষ্ট করুন। সে সময় বাড়িতে কেউ এলে দরজা খোলার আগে দেখে নিতে বলুন, কে এসেছেন।
সন্তানকে নিয়ে বাইক বা স্কুটারে চড়ার সময়, নিজের মাথায় হেলমেট পরার সঙ্গে তার মাথাকেও সুরক্ষিত করুন। সন্তান যেন গাড়িতে উঠলে বেল্ট বাঁধা, বাইকের ক্ষেত্রে হেলমেট পরার সুঅভ্যাস ছোট থেকেই রপ্ত করতে পারে।