সম্পর্ক টিকবে ক’দিন, এ বার জেনে নেওয়া যাবে এই ভাবে

সম্পর্কের মেয়াদ ক’দিন? প্রেমের প্রথম দিকে এ সব আর ক’জন ভাবে! দিন যত এগোয় তত মাথাচাড়া দেয় সমস্যা। কেউ কেউ সে সব কাটিয়ে মানিয়ে-গুছিয়ে সম্পর্কে এগিয়ে চলেন, কেউ বা তা পারেন না।

সব সম্পর্কের মধ্যেই কিছুটা মানিয়ে নেওয়া, আত্মত্যাগ থাকেই। তবে আধুনিক কর্মব্যস্ত যুগে এই মানিয়ে নেওয়া নিয়েও নানা ক্ষেত্রে দেখা যায় মনোমালিন্য। কেউ ভাবেন, তিনিই বেশি যত্ন নিচ্ছেন সম্পর্কটার, উল্টো দিকের মানুষটারও হয়তো নানা যুক্তির জালে একই দাবি।

তবে এ বার আর অনুমান আর যুক্তির ভিত্তিতে ঝগড়া করার দরকার নেই, প্রয়োজন পড়বে না কার দোষ বেশি আর কম— তা নিয়ে লড়াইও। এ বার সম্পর্ক আদৌ টিকবে কি না তা বলে দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সম্পর্ক শুরুর দিন কয়েকের মধ্যেই তা সম্ভব।

এমনটাই দাবি ‘ইউনিভার্সিটি অফ সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া’-র একদল গবেষকের। আপনার সম্পর্কের মেয়াদ ক’দিন তা জেনে নেওয়ার কৌশল আবিষ্কার করেছেন ওই বিজ্ঞানীরা। সম্পর্কে থাকা দু’জন মানুষ সারা দিনে কত ক্ষণ কথা বলেন, কতটুকু সময় ঝগড়া করেন, দু’জনের আলোচনা বা আগ্রহের বিষয় কী, কোন ভঙ্গিতে কথা বলেন, সে সময় গলার স্বরই বা কেমন থাকে— আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর যন্ত্রের মাধ্যমে সবটা পর্যালোচনা করা হয়। তার পরেই ‘সম্পর্ক টিকবে ক’দিন’ জানান দেওয়া সম্ভব বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।

বেশ কয়েক বছর ধরে ৩৪ জোড়া কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে এই সমীক্ষা চালান গবেষকরা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির উপর ভিত্তি করে ‘সম্পর্ক টিকবে ক’দিন’ তা নির্ভুল ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ের মধ্যেই ভেঙে যায় সম্পর্কগুলি। যেগুলি টিকে যাওয়ার কথা সেগুলি টিকে ছিল। তার পরেই ওই সিদ্ধান্তে আসেন গবেষকরা।

তাঁদের এই পরীক্ষা নিয়ে বিশ্বে নানা মনোবিদরা দ্বিমত পোষণ করলেও কলকাতার বেশির ভাগ মনোবিদ কিন্তু এই পদ্ধতিতে আস্থা রাখছেন। যেমন জয়রঞ্জন রামের মতে, মানুষের স্বভাব, তার মস্তিষ্ক ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িত। তাই এটা অসম্ভব নয়।

মনোবিদ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের মতে, সম্পর্ক ক’দিন টিকবে, কেন টিকবে এগুলো খুব আবেগের বিষয়। কিন্তু আবেগ যে হেতু মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে, তাই হাইপোথ্যালামাসের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। তাই মেন্টাল ম্যাচ কথাটা এসেছে।