যত দিন যাচ্ছে ততই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ! আর এই গরমে বাড়ির বাইরে পা রাখতে হলে তিনটে জিনিস সঙ্গে রাখতেই হয়, জলের বোতল, ছাতা আর সানগ্লাস । খাবার জলের বোতল রাস্তার কোনও দোকান থেকেও পেয়ে যাবেন, ছাতার বদলে টুপিও ব্যবহার করেন অনেকে। তবে রোদ থেকে চোখ বাঁচাতে সানগ্লাসের বিপল্প নেই। শুধু রোদের তেজ থেকেই নয়, পোকা-মাকর, রাস্তার ধুলোবালি বা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির কুপ্রভাব থেকেও চোখকে রক্ষা করে সান-গ্লাস। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের চোখের রেটিনা ও কর্নিয়ার মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই শুধুমাত্র ফ্যাশনের জন্যই নয়, চোখের সুরক্ষায়ও সানগ্লাস অত্যন্ত জরুরি!
কিন্তু অনেকেই ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বা চোখকে সাময়িক আরাম দিতে সস্তার সান গ্লাস ব্যবহার করেন। কিন্তু সস্তার সানগ্লাস ব্যবহারের ফলে চোখের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়। কারণ, সস্তার সানগ্লাসে ব্যবহৃত নিম্ন মানের রঙিন প্লাস্টিকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ঠেকানোর কোনও ক্ষমতা নেই। উল্টো তা চোখের জন্য তা মারাত্মক ক্ষতিকর। দুর্বল হয়ে পড়তে পারে আমাদের দৃষ্টিশক্তি। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের (অপথালমোলজিস্ট) মতে, সস্তায় চোখ বাঁচাতে গিয়ে উল্টে আরও ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সস্তার সানগ্লাস ব্যবহারের ফলে চোখের কী কী ক্ষতি হতে পারে:
১) অতিরিক্ত মাত্রায় বা নিয়মিত সস্তার সান-গ্লাস ব্যবহারের ফলে অকালেই চোখে ছানি পড়ে যেতে পারে।
২) শুকিয়ে যেতে পারে চোখের কর্নিয়া।
৩) সস্তার রঙিন চশমা নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চোখের পাওয়ার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যেতে পারে, ঘন ঘন মাথাব্যথাও হতে পারে।
৪) সস্তার রঙিন চশমার অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ‘আইলিড’ ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
৫) সস্তার সান-গ্লাস নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ‘রিফ্রাক্টিভ এরর’ বা চোখের প্রতিসারক ত্রুটি বহুগুণ বেড়ে যায়। এই সমস্যার ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে।
সুতরাং, সস্তার সানগ্লাস কেনা বা ব্যবহারে থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, শুধুমাত্র পলিকার্বোনেট লেন্সই সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি আটকাতে পারে। তাই সানগ্লাস কেনার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনে চক্ষু চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।