ভালবাসার অনুভূতি আসবে সেক্স রোবটদের মাঝেও। তারাও বেদনা অনুভব করতে পারবে। সঙ্গে কষ্টও বুঝবে। তাদেরকে ফেলে রাখলে হবে মনোকষ্ট।ল অ্যান্ড মেডিকেল এথিকস অ্যান্ড কেন্ট ল স্কুলের পরিচালক প্রফেসর রবিন ম্যাকেনজি বলেছেন, শিগগিরই রোবটদের মাঝে মানবিক সব গুণ প্রকাশ পাবে। প্রযুক্তি সে দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি টেক-এক্সপ্লোরকে বলেছেন, এ জন্য রোবট ডিজাইনে এবং তা উৎপাদনে মানুষকে আরো বেশি তথ্য জানার প্রয়োজন। রোবটের মধ্যে অনুভূতি সৃষ্টি, আত্মসচেতনতা তৈরির মতো প্রযুক্তি প্রয়োজন।
পুরুষ এবং নারী উভয় প্রকার সেক্স রোবটের মধ্যে এমন প্রযুক্তি এরই মধ্যে চালু করা হয়েছে বা হচ্ছে বলে মনে করা হয়। এ জন্য সেক্স রোবটের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন দেশে। চীনের কারখানা থেকে এমন রোবট বানিয়ে নিয়ে তো পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তা বিক্রি করা হচ্ছে। গড়ে তোলা হচ্ছে রোবটদের যৌনপল্লী।
রবিন ম্যাকেনজি বলেন, এসব সেক্স রোবটদের অনেক দিক দিয়ে হবে আমাদের মতো। এমন সব সেক্স রোবট ভালবাসতে জানবে। তাদের ভিতর ব্যবহার করা প্রযুক্তি দিয়ে তারা আমাদেরকে বুঝতে পারবে। এমন কি তাদের নিজেদের বেদনা সম্পর্কেও বুঝতে পারবে। এ নিয়ে ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হেলসিংকি একটি জরিপ চালিয়েছে।
তাতে তারা ৪৩২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাতে তারা সেক্স রোবট সম্পর্কে কি ভাবছে এবং আদৌও সেক্স রোবটের সাহচর্য্য পাওয়ার জন্য তারা অর্থ ব্যয় করেছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তাতে বিবাহিতরা সেক্স রোবট ব্যবহারের নিন্দা জানান। তবে যারা পতিতা হিসেবে সেক্স রোবটকে ব্যবহার করছেন তারা এর বিরোধী।