সম্প্রতি জার্মানি, গ্রিস, আইসল্যআন্ড, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং স্পেনে একটি গবেষণা চালানো হয়। ব্রিটেনের একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পত্রিকায় তা প্রকাশ পেয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, নজরদারি এবং সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে, বেশি ক্ষণ ইন্টারনেট ঘাঁটা উচিত নয় জেন নেক্সটদের। দিনে দু’ঘণ্টার বেশি তো নয়ই।
গবেষকদের দাবি, বেশি ক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকলে বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাদের। আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই সব ছেলেমেয়েরাই বেশি হেনস্থার শিকার হয়।
হঠাৎ ব্যক্তিগত জীবনের খুঁটিনাটি প্রকাশ হয়ে গেলে, নানা রকম গুজব ছড়িয়ে পড়লে অথবা কেউ কোনও রকম তির্যক মন্তব্য করলে ভীষণ আঘাত পায় তারা। মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে।
এমনকি ভুলবশতও যদি তাদের নিয়ে কোনও তথ্য বা গুজব ছড়িয়ে পড়ে, তা হলে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করে ওই সব ছেলেমেয়েরা।
১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী, মোট ১২ হাজার ২৩৭ জন পড়ুয়াকে নিয়ে সমীক্ষাটি করা হয়। তাতে দেখা যায়, রোমানিয়া (৩৭.৩%), গ্রিস (২৬.৮%), জার্মানি (২৪.৩%) এবং পোল্যান্ডের (২১.৫%) ছেলেমেয়েরাই ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি হেনস্থার শিকার হয়েছে।
তুলনায় নেদারল্যান্ডস(১৫.৫%) এবং আইসল্যান্ডের (১৩.৫%)পড়ুয়াদের তেমন হেনস্থা হতে হয়নি। এই দুই দেশের মানুষ ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং ডিজিটাল মিডিয়ার ব্যবহার সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন বলেই তাঁদের হেনস্থা হতে হয় না বলে দাবি গবেষকদের।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলির কাছে তাঁদের আবেদন, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য না চাওয়াই উচিত। রাশ টানা উচিত অনলাইন ডেটিং পরিষেবাতেও।