নিহত ওই নারীর নাম হাসি বেগম (২৭)। অভিযুক্ত স্বামী হলেন কমল হোসেন (৩০)। এ ঘটনায় মুগদা থানায় হত্যা মামলা করেছেন হাসির বাবা শেখ আলতাফ ঢালি। সেই মামলায় অভিযুক্ত কমল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বছরখানেক প্রেমের সম্পর্কের পর দুজন আট মাস আগে বিয়ে করেছিলেন।
মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, হাসি ও তাঁর স্বামী কমল দুজনেরই ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। বিচ্ছেদের পর প্রথম স্বামী সুজনের সঙ্গে হাসি বেগমের যোগাযোগ ছিল বলে আটকের পর দাবি করেন কমল। এ নিয়ে হাসি ও কমলের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। এ কারণে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেন কমল। হত্যাকাণ্ডের আলামত মুছে ফেলার জন্য হাসির শরীরে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। হাসির শরীরের আনুমানিক ৪৫ শতাংশ পোড়া ছিল। কমলকে গ্রেপ্তার করে থানায় রাখা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে।
বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত হাসির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঝলসানো ছিল। তাঁর নেক টিসু সংগ্রহ করে প্যাথলজিতে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।