বিশ্ববাজারে হঠাৎ করেই পড়ে গেছে স্বর্ণের দাম। গত তিন সপ্তাহের মধ্যে মঙ্গলবার স্বর্ণ-এর দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে কমে দাঁড়ায় এক হাজার ২৮৬ ডলার ৮৫ সেন্টে। তবে গতকাল বুধবার স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণ-এর দাম শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২৯০ ডলার ৮১ সেন্টে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২৯৫ ডলার ৫০ সেন্টে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনের ইঙ্গিত আসায় বিশ্ব পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ কমেছে। এতে ডলারের দাম যেমন বেড়েছে, তেমনি পুঁজিবাজারগুলোতেও সূচকের উত্থান দেখা গেছে। এ কারণেই হয়তো স্বর্ণ-এর দাম হঠাৎ কিছুটা কমেছে। কারণ ডলারের মান যখন দুর্বল হয়ে ওঠে তখন স্বর্ণসহ মূল্যবান ধাতুগুলোর দাম সাধারণত বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে।
তা ছাড়া রাজনৈতিক গোলযোগ বা আর্থিক কোনো অস্থিরতার জন্যও সোনার দাম বাড়ে। কারণ এই সময়গুলোয় বিনিয়োগকারীরা নগদ অর্থের চেয়ে স্বর্ণসহ মূল্যবান ধাতুর পেছনে বিনিয়োগকেই নিরাপদ মনে করেন। তাই এখন বিশ্ববাজারে অস্থিরতা কমে আসায় স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক শীর্ষ স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গোল্ডসিলভার সেন্ট্রালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রায়ান লান বলেন, এশিয়াসহ অন্য পুঁজিবাজারগুলোয় সূচকের উত্থান অব্যাহত থাকায় গত কয়েক দিনে স্বর্ণের দামে তেমন কোনো হেরফের ঘটেনি। এ মুহূর্তে স্বর্ণের পেছনে অর্থ ব্যয়ে হয়তো বিনিয়োগকারীদের তেমন উৎসাহ নেই।