বছর দশেক আগে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। তাঁর অভিযোগের আঙুল অভিনেতা নানা পাটেকরের দিকে। আবার পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীও তাঁকে হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। যদিও নানা তনুশ্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আইনি পথে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত এ সব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি বিবেক। তবে এই পরিস্থিতিতে তনুশ্রী পাশে পেলেন বলিউডের একটা বড় অংশকে।
টুইঙ্কল খন্না নিজে এক সময় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। তবে এখন তিনি লেখিকা এবং প্রযোজক। তিনি টুইট করেছেন, ‘হেনস্থাহীন কাজের পরিবেশ পাওয়া ন্যূনতম অধিকার।…’’
সোনম কপূর তনুশ্রীর নাম হ্যাশট্যাগে ব্যবহার করে টুইট করেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে দাঁড়াব কিনা, সেটা আমাদের ওপর।’ পরিণীতি চোপড়া লিখেছেন, ‘যাঁদের ঘটনাটা সহ্য করতে হয়েছে তাঁদের বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা করা উচিত।’ তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া।
রিচা চাড্ডা আবার তনুশ্রীর ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘আমার শুনে খারাপ লাগছে তনুশ্রী একা হয়ে গিয়েছে। ওকে সকলে প্রশ্ন করছেন। কোনও মহিলাই পাবলিসিটি, ফুটেজ পাওয়ার জন্য বা ট্রোলড হওয়ার জন্য এ সব বলে না…।’ স্বরা ভাস্করও আস্থা রেখেছেন তনুশ্রীর বক্তব্যে।
তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন। তাঁকে ‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’-এর ট্রেলারে সরাসরি তনুশ্রী ইস্যুতে প্রশ্ন করা বলে তিনি বলেন, ‘আমার নাম তনুশ্রী বা নানা পাটেকর নয়। তা হলে কী ভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দেব আমি? ’
শুধু অমিতাভ নন। এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন সলমন খানও। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমাকে আগে জানতে দিন, বুঝতে দিন কী হচ্ছে…।’’
অমিতাভ, সলমন এড়িয়ে গেলেও নিজের মতামত জানিয়েছেন আমির খান। তিনি বলেন, ‘‘যদি দোষ প্রমাণ হয়, তা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’