ছোট বলে অবজ্ঞা করো না। এরা ছোট হতে পারে কিন্তু অভিনয় দিয়ে সমানে সমানে টক্কর দিতে ওস্তাদ এদের চেয়ে বয়সে ঢের বড়দেরও। অবশ্য শুধু অভিনয় বললেও ভুল হবে। পারিশ্রমিকেও টক্কর দিতে পারে এদের চেয়ে বয়সে বড় অভিনেতাদের। গ্যালারিতে রইল বলিউডের হায়েস্ট পেড ৬ জন শিশু অভিনেতা। যাদের পারিশ্রমিক শুনলে চমকে যাবেন
দর্শিল সাফারি: আমির খানের ‘তারে জমিন পার’ ছবি দিয়ে তার কেরিয়ার শুরু। শিশু অভিনেতাদের জন্য ভাল পারিশ্রমিকের ট্রেন্ডটা চালু করেছিল দর্শিলই। ২০১০ সালে বম বম বোলের জন্য দর্শিল ৩ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেয়।
হর্ষ মায়ের: ২০১১ সালের ছবি ‘আই অ্যাম কালাম’-এর কালামের ছোটবেলার অভিনেতাকে মনে আছে? হায়েস্ট পেড শিশু অভিনেতার তালিকায় সেও আছে। মাত্র ২১ দিন তাকে শুটিং করতে হয়েছিল ছবিটির জন্য। আর তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল ১ লক্ষ টাকা।
দর্শিল কুমার: সলমন খানের ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ ছবিতে নীল নিতিন মুকেশের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিল দর্শিল। যার জন্য প্রতি দিন শুটিং শেষে তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হত ৩০ হাজার টাকা! একবার ভাবুন মাসের শেষে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে সারা মাস কতটা কালঘাম ছোটাতে হয়। দর্শিলের সেটা রোজকার আয়।
সারা অর্জুন: ‘জজবা’ ছবিতে ঐশ্বর্যা রায় বচ্চনের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিল সারা। সারার পরিণত অভিনয় প্রশংশিত হয়েছিল বিশেষজ্ঞ মহলে। ঠিক কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিল সারা তা জানা নেই। তবে সেটে সে বরাবরই ভীষণ সময়নিষ্ঠ। তার জন্য আলাদা ভ্যানিটি ভ্যানও থাকে।
হর্শালি মলহোত্র: ২০১৫ সালের সবচেয়ে হিট ছবি ছিল ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। পুরো ছবি জুড়ে যে সবচেয়ে বেশি চর্চিত, সে ছিল হর্শালি। মুন্নি-র চরিত্রে অভিনয় করে হর্শালি ব্যাগ ভরেছিল ১০ লক্ষ টাকা।
দিব্যা চালওয়াদ: জন আব্রাহামের অ্যাকশন ছবি ‘রকি হ্যান্ডসম’-এ অভিনয় করে বেশ নজর কাড়ে দিব্যা। শুটিংয়ের সময় দিব্যার পারিশ্রমিক কত ছিল জানেন? প্রতি দিনের শুট পিছু ২৫ হাজার টাকা। ছবিটির অভিনয় চলেছিল এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। ছবির জন্য মোট কত টাকা দিব্যা পেয়েছিল তার একটা ধারণা বোধহয় পেয়েই গেলেন এর থেকে।