রুপালি পদার্য় সানী-মৌসুমীর ২৫ বছর

বিয়ের ২২ বছর অতিক্রম করার পর এবার একসঙ্গে পথ চলার ২৫ বছর পূণর্ হলো চলচ্চিত্র তারকাদম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমীর। দুজনেই আলাদা আলাদা ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু করলেও তাদের প্রথমবার দেখা মেলে ‘দোলা’ ছবির মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালের ২ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। সেই হিসেবে সিনেমার পদার্য় জুটি হিসেবে তারা রজত জয়ন্তীতে পদাপর্ণ করলেন। দীঘির্দনের এই পথ চলায় সিনেমার পদার্য় যেমন জুটি হিসেবে তারা দু’জন আকাশচুম্বী সফলতা অজর্ন করেছেন ঠিক তেমনি দাম্পত্য জীবনেও তারা দুজন সুখী তারকা দম্পতির দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন। ‘দোলা’ সিনেমার পর তারা জুটিবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন অনেকগুলো ছবিতে। তার মধ্যে ‘আত্ম অহংকার’, ‘প্রথম প্রেম’, ‘মুক্তির সংগ্রাম’, ‘হারানো প্রেম’, ‘গরীবের রানী’, ‘প্রিয় তুমি’, ‘সুখের স্বগর্’, ‘মিথ্যা অহংকার’, ‘ঘাত প্রতিঘাত’, ‘লজ্জা’, ‘কথা দাও’ ‘¯েœহের বঁাধন’, ‘সাহেব নামে গোলাম’ ছবিগুলো উল্লেখযোগ্য।

এ বিষয়ে ওমর সানী বলেন, ‘এটা একটা দীঘর্ মাইলফলকই বলব। সবার আশিবাের্দ আমরা ঘরে-বাইরে সুখী জীবন যাপন করছি। এটা আমাদের সৌভাগ্য । আমরা চাই এভাবেই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে হাসি-খুশিতেই বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে। কিন্তু সিনেমার পদার্য় আমার এবং মৌসুমীর পথচলার পঁচিশ বছর কীভাবে যে পেরিয়ে গেল তা টেরই পাইনি। দশের্কর ভালোবাসা আমরা এতটা পথ এত সুন্দরভাবে পাড়ি দিতে পেরেছি, এ জন্য দশের্কর প্রতি আমাদের অনেক কৃতজ্ঞতা, দশের্কর জন্য সবসময়ই আমাদের ভালোবাসা থাকবে। আমি এবং মৌসুমী সবসময়ই আপনাদের কাছে দোয়া চাই যেন আল্লাহ আমাদের সুস্থ রাখেন।’

মৌসুমী বলেন, ‘আমরা সুখে দুঃখে একসঙ্গে প্রায় দুই যুগ পার করেছি। আমাদের দু’ সন্তান ফারদিন এবং ফাইজাকে মানুষের মতো মানুষ করার চেষ্টা করছি। নিজেদের জীবনের কিছুটা গল্প এরই মধ্যে দশের্কর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছি ‘ভালোবাসার বিশ বছর’-টেলিফিল্মে। সিনেমার পদার্য় জুটি হিসেবে আমাদের পথচলার এতটা সময় পেরিয়ে গেছে, সেটা আসলে আলাদা করে ভাবার সুযোগও পাইনি। দোলা থেকে শুরু করে আজকের মধুর ক্যান্টিন পযর্ন্ত আমাদের পথচলাকে সমৃদ্ধ করতে যারাই আন্তরিকতা নিয়ে পাশে ছিলেন তাদের প্রতি মনের গভীর থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার সংসার জীবনে, শিল্পী জীবনে সুখে-দুঃখে সবসময়ই সানী আমার পাশে ছিল। এটাও একজন মানুষ হিসেবে, শিল্পী হিসেবে আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। পদার্র জুটি হিসেবে যে শিল্পী সবার কাছে অনেক প্রিয় বাস্তব জীবনে সেই শিল্পীই আমার জীবনসঙ্গী।’

বাংলা চলচ্চিত্রে ওমর সানীর সম্পৃক্ততা নূর হোসেন বলাইয়ের ‘এই নিয়ে সংসার’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে হলেও দশের্কর সামনে ওমর সানীকে সবার আগে তুলে ধরেন পরিচালক দারাশিকো তার ‘চঁাদের আলো’ ছবির মাধ্যমে। আর ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় সালমান শাহ’র সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে সিনেমায় মৌসুমীর যাত্রা শুরু হয়।