হং কং বিশ্ববিদ্যালয়ে কন্ডোম টেস্টের অন্যতম আয়োজক লিং জি ইয়ানের কথায়, “বেশির ভাগ ছাত্রীরাই জানেন না, কীভাবে কন্ডোম ব্যবহার করতে হয়।” কিন্তু এমন একটি বিষয়ে কেন পুরোপুরি দিশাহীন পড়ুয়ারা? লিং জি ইয়ানের মতে, এর জন্য দায়ী সঠিক প্রশিক্ষণের অভাব। স্কুলেও সঠিক ভাবে সেক্স এডুকেশন পড়ান হয় না বলে অভিযোগ করেছেন এই ছাত্রী। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বললেন, “আমি ক্যাথোলিক গার্লস স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। সেখানে রক্ষণশীল মনোভাবের কারণেই সেক্স এডুকেশনের প্রতি অনীহা তৈরি হয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, “বাস্তবিক ক্ষেত্রে আমাদের সবসময়ই মেয়াদ উত্তীর্ণ কন্ডোম দেওয়া হত, যার ফলে আদত ব্যাপারটা ধরতে মুশকিল হচ্ছে।”
এই প্রশিক্ষণের অন্যতম উদ্যোক্তা চান চাক-চিং জানালেন আরও ভয়ানক পরিস্থিতির কথা। চান চাক-চিং বলেন, “অনেকেই মনে করেন একসঙ্গে ২টি কন্ডোম ব্যবহার করাই সুরক্ষিত পদ্ধতি। সচেতনতার অভাবে অনেকেই যৌন রোগে আক্রান্তও হচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, হং কং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কন্ডোম টেস্টের আগে এইডস নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গবেষণা চালিয়েছিল। সেই গবেষণা জানায়, হং কং-এর ১১২টি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ পড়ুয়াই ক্যাম্পাসে সেক্স করেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যৌনতা নিয়ে ভুল ধরণা রয়েছে পড়ুয়াদের। সমাজবিজ্ঞানীদের অনেকেই মনে করেন, হং কং-এর মত দেশে সেক্স এডুকেশনকে অতি আবশ্যক করা প্রয়োজন।