গলার আওয়াজ বসে যাওয়া বা খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
গলার আওয়াজ বসে যায়নি বা খারাপ হয়ে যায়নি এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমরা যারা কথা বলি, আমাদের যাদের কাজই কথা বলার যেমন ডাক্তার, শিক্ষক, হকার তাদের কিন্তু কথা বলতেই হয়। আর যারা বেশি বেশি কথা বলেন তাদের প্রায়ই গলা খারাপ হয়ে যায়। কখনো কখনো একেবারেই খারাপ হয়ে যায়, কখনো কখনো অস্পষ্ট হয়ে যায়। এরকম অবস্থাকে আমরা “লেরিনজাইটিস” বলি। নানান কারনে এটা হতে পারে। ভাইরাস থেকে হতে পারে, ব্যাকটেরিয়া থেকে হতে পারে, ধূমপানের কারনে হতে পারে। যাদের পাচক রস পাকস্থলী থেকে উপরে চলে আসে তাদের এমন হতে পারে। যারা লেরিনজাইটিস সমস্যায় ভুগেন তারা আমাদের কাছে আসেনই গলার সমস্যা নিয়ে।
তারা চান যত তারাতারি ভাল হয়ে স্বাভাবিক কাজে ফিরে আসা যায়। এরকম রোগী যখন আসে তখন তার কাছ থেকে রোগের বিবরণ ভাল করে শুনে নিতে হয়। তার নাক, কান ভাল করে দেখে নিতে হয়। এখন আমাদের লেরিংস দেখার জন্য অনেক যন্ত্রপাতি আছে। ফাইবার অপটিক লেরিংস্কপি আছে, ভিডিও লেরিংস্কপি আছে, স্ট্রবসকোপ নামে উন্নত একটি যন্ত্র আছে। আর সহজ উপায় হচ্ছে কাঁচের আলো ফেলে শ্বাসযন্ত্রটা ভাল করে দেখে নেওয়া। আমরা যদি দেখি তার ভোকাল কড মানে যেখান থেকে কথা উৎপন্ন হয় সেই জায়গাটা ফুলে আছে বা লাল হয়ে আছে তাহলে আমরা খুব সহজেই রোগ নির্ণয় করতে পারবো।
এই সমস্যা সমাধানের প্রথম চিকিৎসা হল কথা বলা বন্ধ করে দিতে হবে, একদম কথা বলা যাবেনা। এমনকি ফিসফিস করেও না। যাদের হাইপার এসিডিটি আছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। ধূমপান করা যাবেনা। মদ্যপান করা যাবেনা। ফুটন্ত পানি থেকে যে বাষ্প বের হয় সেটা টানতে হবে। যাদের গলায় অন্য ইনফেকশন আছে সেটার চিকিৎসা করাতে হবে। এভাবে আমরা লেরিনজাইটিসের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারি। সাধারন লেরিনজাইটিস এর জন্য বেশি কথা বলা যাবেনা, গলাকে বিশ্রাম দিতে হবে, ধূমপান করা যাবেনা, একটানা বেশিক্ষন কথা বলা যাবেনা। কথা বলার মধ্যে বিশ্রাম দিতে হবে। গলার যত্ন নিতে হবে। একজন মানুষের গলার মাধ্যমেই নিজেকে অপরের কাছে উপস্থাপন করতে হয়।
১. কারনঃ- ১. ভাইরাস থেকে হতে পারে, ২. ব্যাকটেরিয়া থেকে হতে পারে, ৩. ধূমপানের কারনে হতে পারে, ৪. যাদের পাচক রস পাকস্থলী থেকে উপরে চলে আসে তাদের এমন হতে পারে।
২. টিপসঃ- ১. কথা বলা বন্ধ করে দিতে হবে, ২. যাদের হাইপার এসিডিটি আছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, ৩. প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে, ৪. ধূমপান করা যাবে না, ৫. মদ্যপান করা যাবে না, ৬. ফুটন্ত পানি থেকে যে বাষ্প বের হয় সেটা টানতে হবে, ৭. যাদের গলায় অন্য ইনফেকশন আছে সেটার চিকিৎসা করাতে হবে।
https://www.youtube.com/watch?v=Geg0SPadJxM