তুলসী অর্থ ‘যার তুলনা নেই,’ এর ইংরেজি নাম হলি বেসিল। তুলসিগাছ আমাদের দেশে সাধারনত হিন্দু বাড়িতে দেখা যায়। হিন্দুরা পুজা-অর্চনার কাজে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এ গাছ কিন্তু সবার বাড়িতেই থাকা উচিত। এ গাছকে ঔষধি গাছ বলা হয়, অনেকে এ গাছকে বৈদ্য গাছও বলে থাকে।
কোথায় এবং কীভাবে পাবেন এই গাছ:
তুলসীর চারা পেতে আপনাকে এতটাও কষ্টও পোহাতে হবেনা। যেকোনো নার্সারি বা গাছ ফেরিওয়ালার কাছেই পাবেন। চারার দামও কম, মাত্র বিশ থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। এ গাছের বীজ বুনলেও খুব সহজে এবং তাড়াতাড়িই চারা হয়ে যায়।
রোপন ও যত্ন:
আপনার বাড়িতে উঠান থাকলে ভালো, আপনি যেকোনো এক জায়গায় বুনে নিতে পারেন তুলসীর চারা। কিন্তু যারা শহরে থাকেন তারা বারান্দায় ছোট একটি টবে ভালো মাটি, সার দিয়ে বুনে নিতে পারেন তুলসী চারা। প্রতিদিন সকালে তুলসী চারাতে পানি দিতে হয়। মাঝেমাঝে আগাছা পরিষ্কার করে দিবেন। দেখবেন আপনার গাছ তরতরিয়ে বড় হচ্ছে।
তুলসী গাছ যে যে কাজে লাগবে:
> আপনি চায়ের সঙ্গে সিদ্ধ করে এটি পান করতে পারেন অথবা তুলসীর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে আপনার সর্দিকাশি সাতদিনের আগেই পালাবে।
> শরীরে দাদ বা খুজলি হলে এ রস আক্রান্ত স্থানে দিলে তা কিছুদিনেই সেরে যাবে।
> এ গাছ ঘরে থাকলে ঘরের গুমোট ভাব ও গন্ধ দূর হয়ে যায়। ঘরের আবহাওয়া সতেজ থাকে।
> প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি করে তুলসী খেলে মরনব্যাধি ক্যানসার আপনার থেকে দূরে থাকবে।