প্রেমের ফাঁদ নাকি পাতা আছে ভুবনে! কিন্তু প্রেমে পড়লেই যে ভালবাসার মানুষকে সহজেই তা বুঝিয়ে দেওয়া যাবে এমনটা নয়! বন্ধুত্ব হারানোর ভয়, কখনও বা কুণ্ঠা-সংকোচ এসে ঘিরে ধরে। সরাসরি প্রপোজ করে উঠতে পারেন না অনেকে, তবে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন মনের কথা। কী কী ব্যবহার দেখলে বুঝবেন তিনি প্রেমে পড়েছেন?
যাঁকে আপনার প্রতি দুর্বল বলে মনে হয়, তিনি কি আপনার বিশেষ শখ বা পছন্দের হদিশ জেনে সেই অনুযায়ী কিছু কিনে দিয়েছেন? বা হয়তো এমন কিছু জিনিস কিনেছেন, যা আপনার প্রয়োজনীয় হলেও আপনি আদৌ তা আগে বুঝতেই পারেননি, উপহার দেওয়ার সময় তিনিই বুঝিয়ে দিলেন তা। এমন হলে সেই দুর্বলতা কিন্তু সাধারণ নয়!
অফিসে হোক বা অন্য কোথাও, আপনার ভুল হয়েছে জেনেও সকলের সামনে কি আপনার হয়ে লড়ে যান তিনি? নানা যুক্তিতে আপনার ভুল হালকা করার চেষ্টা করেন? পরে আপনাকে একা পেয়ে হয়তো বুঝিয়ে বলেন সে দিনের ভুল। এমন হলে সেই মানুষ কিন্তু আপনারই অপেক্ষায় রয়েছেন।
আপনার পোষ্যটিকে তিনিও খুব আদর করছেন, একই রকম ভালবাসছেন— এমন হলে কিন্তু বুঝতে হবে যাঁকে নিজের প্রতি দুর্বল বলে ভাবেন, তিনি সত্যিই দুর্বল আপনার প্রতি। পোষ্যকে ভালবাসা সাধারণত নিজের দুর্বলতা প্রকাশের একটা মাধ্যম।
বাড়িতে যাতায়াত থাকলে একটু খতিয়ে দেখুন তো, আপনাকে যতটা গুরুত্ব তিনি দেন, আপনার অভিভাবকদের সঙ্গেও কি ততটাই গুরুত্ব দিয়ে মিশতে চান? আপনি বাড়িতে না থাকলেও তাঁদের সঙ্গে এসে দেখা করে যান মাঝেমধ্যেই? এমন হলে তিনি আপনার পরিবারের সদস্য হয়ে উঠতে বিশেষ আগ্রহী বুঝবেন।
এক সঙ্গে কোথাও বেরলে আপনার সুবিধা-অসুবিধার দিকে কড়া নজর থাকে কি না তাঁর তা ভাবুন। অনেক সময় দেখা যায়, সারা দিনের ঘুরে বেড়ানোর পর প্রিয় মানুষ হয়তো ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ছেন, পাশের মানুষটি তাকে ভালবাসলে বিশ্রাম নেওযার উপায় আরও সহজ করে দেন। ঘুমের সময় মাথা রাখতে বাড়িয়ে দেন নিজের কাঁধ।
কোনও ভাবে জানতে পেরেছিলেন আপনি কেমন পোশাকে প্রিয়জনকে দেখতে চান। তার পর কি তিনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরে আসেন প্রায়ই? তা হলে এটি নিছক দুর্বলতা থেকে নয় কিন্তু!
ভালবাসলে অনেকেই প্রিয়জনকে চমকে দিতে ভালবাসেন। তিনিও কি মাঝেমধ্যেই আপনাকে চমকে দেন নানা কাজে? তা সে উপহারই হোক বা কোনও নতুন রেসিপি রান্না করে খাওয়ানোই হোক! এমন হলে সেই মানুষ আপনার প্রতি প্রকৃতই অনুরক্ত।
আপনার চেহারা বা রূপ নিয়ে কি তিনি খুব একটা মাথা ঘামান না? আপনি সুন্দর হোন বা সাধারণ— তা নিয়ে তিনি খুব একটা ভাবিত নন, বরং আপনি সুস্থ আছেন কি না, ঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করছেন কি না, অফিস পৌঁছলেন কি না এ সব খোঁজেই আগ্রহ বেশি? তা হলে এই সম্পর্ক নিয়ে আপনি এগোন নিশ্চিন্তে।
আপনার মেজাজ গরমের সময় হয় তিনি শান্ত থাকেন, নয়তো ঝগড়াঝাঁটি হলেও নিজেই এগিয়ে আসেন মান ভাঙাতে। বা আপনি গেলেও সহজেই গলে যায় রাগ। এমন ব্যবহার পেলে তাঁকে আর না-ই বা অপেক্ষা করিয়ে রাখলেন!