সন্তানের এই নেশা সারাতে হলে অভিভাবক হিসাবে আপনার উপরই প্রধান দায়িত্ব বর্তায়। শাসন বা মারধরে না গিয়ে একটু রুটিন ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করলেই কিন্তু এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পাবে শিশু। দেখে নিন সে সব।
অনেক সময় অভিভাবকরাই এই অভ্যাসের জন্য দায়ী। অনেকের বাড়িতেই প্রায় ঘন ঘন টিভি চলে। বাড়িতে শিশু থাকলে এই অভ্যাসে রাশ টানুন। নিজেই বেছে দিন এমন কিছু অনুষ্ঠান যা সন্তানের সঙ্গে বসে সকলে দেখতে পারেন। শিশুর দেখার অনুপযুক্ত অথচ আপনার প্রিয় কোনও অনুষ্ঠান দেখার জন্য অ্যাপের উপর নির্ভর করুন।
নিজের টিভি দেখার নেশা থাকলে সেটাও ঝটপট কমিয়ে ফেলুন। শিশুর সামনে দৃষ্টান্ত তৈরি করুন। সে-ও যেন বোঝে যে কোনও প্রিয় অনুষ্ঠান সহজেই ছেড়ে দেওয়া সম্ভব।
সন্তান কি সারা ক্ষণ বাড়িতেই বসে থাকে? তাই হয়তো ওর একমাত্র বিনোদনের বিষয় হয়ে উঠছে টিভি। তেমনটা হলে সতর্ক হন। ওকে বাইরে বেরতে দিন। খেলাধূলা হোক বা পছন্দের সৃজনশীল বিষয় শিখতে ভর্তি করুন।
বই পড়ার অভ্যাস আয়ত্তে আনতে সাহায্য করুন। ছোটবেলা থেকেই বই উপহার দিন বেশি। নিজেও ওর স্বার্থে সময় বার করুন পড়ার। দরকারে একই বই একসঙ্গে বসে পড়ুন। এতে ছেলেবেলার গল্প বা কবিতা আরও একবার আপনারও পড়া হয়ে যাবে। ওরও বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হবে।
আপনার ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় ওকেও দিন। ওর জন্য বরাদ্দ সময়ে অন্য কোনও কাজ করবেন না। ওর সঙ্গে খেলুন বা ওকে নিয়ে ধারেকাছে কোথাও বেড়াতে যান— দেখবেন টিভি দেখার আসক্তি কমছে।
টিভি দেখা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া কিন্তু কাজের কথা নয়। টিভি দেখতে দিন, কিন্তু নির্দিষ্ট একটা সময়ের বেশি নয়। অনেক অনুষ্ঠান ভাল লাগলে বেশি ভাল লাগার অনুষ্ঠান বেছে নিতে হবে। দরকারে ওর সঙ্গে কথা বলুন।