প্রথম শর্ত হলো, সিল্কের শাড়ি স্যাঁতসেঁতে জায়গায় একদম রাখা যাবে না। পোকা এড়াতে সিল্কের শাড়িতে ন্যাপথলিন বল না রাখাই ভালো। এতে শাড়িতে ন্যাপথলিনের গন্ধ বসে যেতে পারে। এর পরিবর্তে দারুচিনি বা লবঙ্গ ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ভারী কাজ করা সিল্কের শাড়ি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখার পরামর্শ দেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বস্ত্র ও বয়নশিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দিলরুবা হোসাইন।
সিল্ক শাড়ি ধোয়া কিছুটা ঝামেলার বিষয়। তাই লন্ড্রিতে ড্রাই ওয়াশ করা ভালো বলে মনে করেন সপুরা সিল্ক মিলস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপক মো. শরিফুল ইসলাম। বাড়িতে ধুতে হলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হালকা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে পানিতে অল্প কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে নিয়ে সূর্যের আলোতে শুকিয়ে নিতে হবে। কখনোই সিল্ক শাড়ি জোরে কচলানো যাবে না। এতে কাপড়ের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। বাড়িতে সিল্ক শাড়ি ইস্ত্রি করার ক্ষেত্রেও বাড়তি সাবধানতা মানতে হবে। শাড়ি হালকা ভেজা থাকতেই উল্টো করে ইস্ত্রি করতে হবে। হাতের কাজ করা বা ব্লক করা সিল্ক শাড়ির ক্ষেত্রে সুতি পাতলা কাপড় বিছিয়ে নেওয়া ভালো।
আমাদের দেশে আবহাওয়ায় আর্দ্রতা বেশি, ফলে কাপড়ে খুব সহজেই ছত্রাক পড়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে মাঝে মাঝে শাড়ি রোদে দিয়ে ভাঁজ পাল্টে নিন। আবার কাঠের আলমারির ঘুণপোকাও কাপড় কেটে ফেলতে পারে। আলমারির ভেতর বার্নিশ বা কেরোসিন দিয়ে মুছে নিলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
ঢাকার নদীয়া ড্রাই ক্লিনার্সের কর্মী মো. আলম জানালেন, সুগন্ধি কখনো শাড়িতে স্প্রে করবেন না। ভেজা হাত শাড়িতে মুছবেন না। শাড়িতে কোথাও দাগ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে পাউডার দিয়ে দিন। পরে ধুয়ে ফেলুন। ঘামে ভেজা শাড়ি কখনোই ভাঁজ করা যাবে না। শুকিয়ে, পরিষ্কার করে তারপর তুলে রাখুন। প্লাস্টিকের ব্যাগে সিল্ক শাড়ি সংরক্ষণ না করাই ভালো। এতে শাড়ির ভেতরের আর্দ্রতা থেকে যেতে পারে।