শিশুর মুখের ঘা হলে কী করবেন?

শিশুর মুখে বিভিন্ন প্রকার ঘা হতে পারে। তো জেনে নেওয়া যাক শিশুর মুখে ঘা হলে কী করবেন?

১. শুধু দুধ খাওয়া শিশু, তাদের জিহ্বা ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে জিহ্ব মাঝে সাদা আস্তর পড়ে যেটা জমতে জমতে ঘা হয়ে যায়। তাই প্রতিবার ব খাবার পরে পরিষ্কার পাতলা কাপড় আঙুলে পেঁচিয়ে শিশুর জিহ্বা পরিষ্কার কর দিতে হয়।

২. কোনো কোনো শিশুর মুখের ভিতর তালুতে বা জিহ্বায় দুধের আবরণের মতো ঘা হয়। ভিজে তুলা বা কাপড় দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষা দিলে কিছুটা ওঠে। পুরোপুরি ওঠে না।

৩. কখনও কখনও শিশুর মুখে ঠোঁটের ভিতর তালুতে লাল লাল ছোট ফোড়া বা ফোলা জায়গা দেখা যায়। সাধারণত ভিটামিনের অভাবে এগুলো হয়ে থাকে।

মুখের বা জিহ্বার কোনো ঘা-ই কাপড় বা তুলো দিয়ে জোরে ঘষতে হয় না।। তাহলে ঐ জায়গা ছিলে বা চাপ লেগে রক্তক্ষরণ হতে পারে। জায়গাটা তখন লালচে হয়ে যায়।

 

আরও পড়ুন :

শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন?

শিশুর শরীরে র‍্যাশ

 

শিশুর মুখে ঘা হওয়ার কারণ

  • সাধারণ ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের কারণে মুখে ঘা হয়ে থাকে।
  • শিশুর মুখ প্রতিদিন বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পর পরিষ্কার না করলে।
  • শিশুকে অপরিষ্কার চামচ বা নিপুল দ্বারা খাবার বা দুধ খাওয়ালে।
  • কোনো অসুখের কারণে বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে।
  • শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে।

 

শিশুর মুখে ঘা :  লক্ষণ

  • শিশুর খেতে কষ্ট হয় বলে সে খেতে চায় না।
  • নিপল ঠিকভাবে চুষতে পারে না এবং চায়ও না।
  • মুখে যন্ত্রণার কারণে সে কান্নাকাটি করে।

 

শিশুর মুখে ঘা : কী করণীয়

  • শিশুর মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • সকালে ও রাতে দুবার ভিজে কাপড় বা তুলো দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করে এক পারসেন্ট জেনশিয়ান ভায়োলেট ৫-৭ দিন লাগালে ঘা ভাল হয়ে যায়। তবে তা চিকিৎসকের পরামর্শে লাগাতে হবে। প্রয়োজনে নিস্ট্যাটিন ব্যবহার করা যায়।

 

প্রতিরোধ

  • নিয়মিত শিশুর মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিবার আহারের পর মুখ পরিষ্কার করে দিতে হবে।
  • শিশুকে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে পরিষ্কার পাত্রে পরিষ্কার হাতে খাওয়াতে হবে ।
  • শিশুর ফিডার ও নিপুল পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে।

 

শিশুর মুখে ঘা  নিয়ে লেখাটি লিখেছেন জামাল হোসেন

( মাটির পাঠকদের জন্য গুপ্তধন কোড : 14/10/21)

শিশুর মুখে ঘাশিশুর স্বাস্থ্য