একজন গে সুইসাইড করেছে। এটার Case Study করে কিছু লিখবো তাই ওর আইডি সার্চ দিতে গিয়ে পেলাম ময়মনসিংহর স*মকা* কমিউনিটির বড় একটি গ্রুপ।
সুইসাইড করা ছেলেটি ঐ জেলা এবং গ্রুপের সদস্য। প্রতিটি জেলার নামেই গ্রুপ রয়েছে। তাই এখন যা লিখবো, ময়মনসিংহের ভাইয়েরা ট্রিগার্ড হবেন না। তবে এত বড় অন্য জেলার কমিউনিটি আমার চোখে পূর্বে পড়েনি।
একজন লিখেছে – ‘ময়মনসিংহে কার কোথায় বাসা?’
কমেন্টস: সদর থেকে বোটম আছি, ত্রিশাল টপ আছি, ভালুকা বোটম… এভাবে শম্ভুগঞ্জ, ইশ্বরগঞ্জ, তিনকোনা পুকুর পাড়, ব্রাহ্মপল্লী, কাচিঝুলি, হালুয়াঘাট, বগারবাজার, তারাকান্দা, চরখরিচা, সেনবাড়ি, একুয়ামাদ্রাসা কোয়াটার, রেলক্রসিং, নান্দাইল, পুলিশ লাইন ইত্যাদি!
সব লিখে শেষ করতে পারিনি। মানে একদম প্রতিটি উপজেলা এবং ইউনিয়নেরই কেউ না কেউ আছে।
এখন কিছু পোস্টের উদাহারণ দিচ্ছি:
‘ত্রিশালে ৭দিনের জন্য মেস খালি আছে। বোটম কেউ আছো?’
‘ভালুকায় ১৬+ বোটম আমি। টপ কেউ আছো?’
‘আমার সিনিয়র পছন্দ। ২৫+ কেউ আছো? আমি বোটম, বয়স ১৪।
‘বাসায় তিনদিনের জন্য থাকবে না। ত্রিশালে বোটম কেউ আছো?’
‘পলিটেকনিক্যালের বটম কেউ আছো?’
‘মেডিক্যালের টপ কেউ আছো?’
‘আগামীকাল ময়মনসিংহ বেড়াতে আসবো। অমুক হোটেলে একরাত থাকার মতো কেউ কী আছো?’
‘ভাঙ্গামারীতে উঁচা লম্বা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাউকে চাচ্ছি।’
‘আমার মোটা বটম পছন্দ। গৌরীপুরের কেউ কী আছো?
‘আমি বোটম, স্লিম। ‘** ভালো করতে পারি’ বটম। সময় কাটানোর মতো কেউ কী আছো?’
একজন তো অভিমান করে লিখেছে – ‘৩৫+ বয়স্ক শিক্ষিত স্মার্ট লোকের বড্ড অভাব এই গ্রুপে। বিদায় নিবো?
তাকে বিদায় নিতে হয়নি। তাঁর বয়সী মানুষ। আবার ৪৫+ মানুষও পাওয়া গিয়েছে।
যাইহোক, নিজেদের বয়স, চাহিদা অনুযায়ী এমন অগণিত পোস্ট। তারা এভাবেই ম্যাচমেকিং করছে।
এখানে একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে –
হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ নেই। সবাই খুঁজছে। মহিলা ছাড়া তাদের, পুরুষ মানুষ হলেই চলবে।
এর মধ্যে একজন লিখেছে –
‘গ্রুপে সবাই শুধু খাওয়ার ধান্ধা করে। কেউ রিয়েল লাইফ পার্টনার হতে চায় না। আমি এমন একজনকে চাই। যে আমার পাশে আমৃত্যু থাকবে। সংসার গড়বে।’
আমি শুধু এদের মানসিক অবস্থার কথা ভাবছি। পেশায় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মজীবি, মেডিক্যাল পড়ুয়া কিংবা যেকোন পরিচয়ের…
কতটা সেক্সুয়ালি ফ্রাস্টেটেড এদের জীবন। চেনা পরিচয় নেই। কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক নেই। সেক্স করতে ইচ্ছে হলো – কাইন্ড অফ টপ বোটম অনুযায়ী নিজে প*তা, প*তাকে খুঁজে শারীরিক সম্পর্ক করে ফেললো। বাসায়, হোটেলে, মেসে গিয়ে হাজির।
বাংলাদেশে এই স*মকা* কমিউনিটির বেশ কিছু ভয়ঙ্কর মার্ডার হয়েছে।
একটি কেস এমন ছিলো –
দক্ষিণখানের একজন ফেসবুক গ্রুপে এরকম শারীরিক সম্পর্ক করতে সমকামী খুঁজেছিলো। গাজীপুরের একজনের সাথে দেখা করতে গিয়ে অপহরণ, মুক্তিপন অতঃপর হত্যা।
আরেকটি কেস –
দুই বছরের সম্পর্ক। জোরপূর্বক বাসায় এসে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে নিষেধ করে। তখন তাকে ব্লাকমেইল করে। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার। তখন মান সম্মান বাঁচাতে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হতা করে।
আরেকটি কেস –
এক লোক সমকামি কিন্তু সমকামী নয় এমন একজনের সাথে জোরপূর্বক সম্পর্ক করে। ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করত। একদিন সেই লোক তাঁর আরেক বন্ধুকে সাথে নিয়ে হত্যা করে।
বাংলাদেশের এক ছাত্রকে সমকামীতায় ব্যর্থ হয়ে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে এক আলজেরিয়ান নাগরিক।
ইত্যাদি সমকামী দ্বারা খুন কিংবা সমকামীই যেখানে ভিক্টিম এমন অনেক মার্ডার কেসের ঘটনাই ঘটেছে এই দেশে।
বাংলাদেশে কিছু সমকামী ছেলে মেকআপ আর্টিস্ট আছে। স্ট্রেইট মানুষও এতটা অশ্লীল নয়, যতটা এরা। এদের আইডিতে ছবি দিয়ে পোস্ট কিংবা স্টোরিতে নিজেদের নগ্ন ছবি দিয়ে মানুষকে জানান দিচ্ছে। আমার সাথে রাত কাটাও। জীবনে সেগস বাদে আর কিছু হয়তো নেই।
বাংলাদেশে স*মকা* আইনত দণ্ডনীয়। তারপরেও স*মকা* হচ্ছে শত বছর পূর্বেও হতো। তবে কম। এখনও প্রচুর হচ্ছে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। তাদের নিজস্ব কমিউনিটি রয়েছে। সহজেই পার্টনার খুঁজে নিচ্ছে। কিন্তু নির্দিষ্ট একজনকে নিয়ে এদের জীবন নয়। যখন যাকে পাচ্ছে। তাকেই খাচ্ছে।
অন্যদিকে ছেলে ছেলে স*মকা* করলে আপনি ধরা এত সহজ নয়। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সব জায়গাতেই এরা রয়েছে। শুধু টপ বোটম হলেই হলো। এদের নেই কোন ধর্মীয়, দেশের আইনের রেস্ট্রিকশন কিংবা প্রপার সেক্স এডুকেশন।
এতকিছু লেখার কারণ হচ্ছে –
দুই সপ্তাহ আগে সিরাজগঞ্জে ২৫৫ জন এইডস রোগী সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ জন মারা গিয়েছে।
গতকাল রাজশাহীরও এইডস রোগীর সংখ্যা প্রকাশ করলো।
রাজশাহীতে ২০২৪ সালে ২৭জন এইডস রোগীর মধ্যে ২৪জন ছিলো স*মকা*।
২০২৫ সালে ২৮ জনের মধ্যে ১৭ জনই স*মকা*। স*মকা* মাধ্যমে এইডস রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
ব্যাপারটা কতটা এলার্মিং তা এই আক্রান্তের হারের অনুপাতটা খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন!
অনেক আগে লেখার উদ্দেশ্যে এসব ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে সাভারের এক শেফের সন্ধান পেয়েছিলাম। যে নিজেকে বোটম বা মেয়ে হিসেবে গোপনে পরিচয় দিত। সে ছিল স*মকা*। সার্জারি করে মেয়ে হতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিয়ে করে বাচ্চাও হয়েছে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি বিয়ে করেছেন। বাচ্চাও হওয়ালেন। কিন্তু কেন? আপনি না মেয়ে?
তাঁর উত্তর ছিলো! সমাজের জন্য। কিন্তু এখনও সে স*মকা*। তো, এই ব্যক্তি হচ্ছে বাই সেক্সুয়াল!
ক্ষতির কথা যদি ভাবেন, তাহলে অন্যান্য গের চেয়ে বাই সেক্সুয়াল এরা বেশী ক্ষতিকর! এরা ভান ধরে থাকে স্ট্রেইটের। কিন্তু সে এইডসে আক্রান্ত হলে – তাঁর ঐ স্ত্রীও আক্রান্ত হবে। সেই স্ত্রীর গর্ভে থাকা শিশুও হবে। যদি না এইডসের ব্যাপারে স্ত্রী আগে থেকে জানেন এবং প্রোপার চিকিৎসা না নেয়।
বিয়ের ক্ষেত্রে পার্টনারের রক্ত পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যতই প্রেম-ভালোবাসা, বিশ্বাসের প্রতিশ্রুতি থাকুক না কেন!
এইডস আক্রান্তদেরকে ঘৃণা করে দূরেও সরিয়ে রাখা যাবে না। তবে যারা গোপনে এই রোগ পুষছে এবং সবার মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এসব সাইকোদের কীভাবে থামাবেন?
সরকার এইডসের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ওষুধসহ সব ধরনের সেবা দিচ্ছে। মানসিক চিকিৎসার জন্য কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করছে। নিয়মিত ওষুধ সেবনের ফলে আক্রান্ত হলেও সুস্থ থাকা সম্ভব।
লেখা: অন্তর মাশঊদ