সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে যাচ্ছে সিমের আকার-আকৃতি। বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। আর তাই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ই-সিম । এটা হল ইলেকট্রনিক-সাবসক্রাইবার আইডেনটিটি মডিউল। আকারে যে কোনো সাধারণ সিম কার্ডের চেয়ে দশ গুণ ছোট।
এই সিম অন্য সিমের মত ফোনে ভরা হয় না বরং যখন ফোন তৈরি করা হয় তখন একই সঙ্গে এই সিমও তৈরি করা হয়। এটিকে ফোনের হার্ডওয়্যারের মধ্যেই ধরা হয় এবং একে ফোনের বাইরে বের করা সম্ভব নয়।
ই-সিম ফোন হার্ডওয়্যারেরই একটি অংশ এবং অপারেটর প্রোফাইল ডাউনলোড না করা পর্যন্ত এটি অ্যাক্টিভেট হবে না। এতদিন পর্যন্ত আইফোনে অ্যাপেল স্মার্টওয়াচ কানেক্ট করার জন্য ব্লুটুথ ব্যবহার করা হত, কিন্তু এখন ই-সিমের সহযোগিতায় স্মার্টওয়াচ, ফিটনেস ব্যান্ড বা যে কোনো ওয়্যারেবল ডিভাইস সরাসরি মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফোনে কানেক্ট করা যাবে।
এ সিম ব্যবহার করে আপনি নানা ধরনের সুবিধা পেতে পারেন। বিশ্বে মোট ১৪টি নেটওয়ার্ক ই-সিম ফিচার সাপোর্ট করে। আপনি যখন কোনো দেশে ভ্রমণ করবেন তখন আর আপনাকে কোনো ধরনের টুরিস্ট সিম কার্ড কিনতে হবে না। বিশ্বের যেকোনো স্থানে গিয়ে এই ই-সিম কার্ড ব্যবহার করা যাবে।