জোরে হাঁটা: জোরে হাঁটার নানা গুণ নিয়ে জোর চর্চা চলছে আজকাল। ঘাম ঝরিয়ে ১৫ মিনিট হাঁটলেই খরচ হয় ৪০ ক্যালরি। প্রতিদিন সকালেই মর্নিং ওয়াকে যেতে ইচ্ছে না-ই করতে পারে। কলেজের ফাঁকে মাঝে-মাঝে লাঞ্চে যাও বাইরে কোথাও? হেঁটে যাও, হেঁটে ফেরো। যে কোনও জায়গা থেকে ফেরার সময় টুক করে অ্যাপ ক্যাব ডেকে উঠে যেয়ো না। সম্ভব হলে খানিক হেঁটে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বাসেই ওঠো। আসল কথা হচ্ছে, একটানা অনেকক্ষণ বসে কাজ করাটা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভাল নয়। মাঝেমধ্যে সিট ছেড়ে উঠে একটু হাত-পা চালিয়ে নাও। ছুটির দিন বাড়ির কাজেও একটু হাত লাগাও। হেঁটে বাজারটা করে আনলে মা-ও খুশি হবেন আর তোমারও হাঁটা হবে!
স্ট্রেচিং: বলা হয়, স্ট্রেচিং নাকি ফ্যাটকে কখনওই এক জায়গায় সেট্ল করতে দেয় না। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে খানিক স্ট্রেচিং করলে ভাল ফল পাবে। যোগব্যায়ামের মাধ্যমেও কিন্তু খুব ভাল স্ট্রেচিং হতে পারে। তবে শুরু করার আগে কোনও ফিটনেস ইন্সট্রাক্টরের পরামর্শ নিয়ে নিয়ো, কারণ উলটো-পালটা স্ট্রেচিং করে ফেললে পেশিতে চোট লাগতে পারে।
টিনএজার টিপস : শীতে মর্নিং ওয়াকে যাওয়ার সাবধানতা
লো ইন্টেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং: এতদিন নিশ্চয়ই জেনে এসেছ যে হাই ইন্টেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিংয়ে চটপট ওজন কমে? এবার অভ্যেস করো লো ইন্টেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিংয়ে। হাই ইন্টেনসিটির চেয়ে সহজ, তবে ক্যালরি খরচের ক্ষেত্রে তেমন ফারাক থাকবে না। এক্ষেত্রেও কিন্তু নিজের বুদ্ধিতে কিছু করতে যেয়ো না, অবশ্যই পেশাদার ট্রেনারের সাহায্য নাও। আজকাল বহু অ্যাপ বা সাইট হয়েছে যেখান থেকে দেখে সরাসরি ব্যায়াম করা যায়। কিন্তু হঠাৎ কোনও পেশিতে টান ধরলে তোমাকে সাহায্য করার মতো কেউ থাকবে না।
বয়সটা ব্যায়ামের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নয়: মা বা বাবাকে জন্মদিন অথবা বিবাহবার্ষিকীর উপহার হিসেবে কোনও জিম বা হেল্থ ক্লাবের মেম্বারশিপ উপহার হিসেবে দিতেই পার। সুস্থ থাকাটাও যে এক ধরনের বিনিয়োগ, সে সম্পর্কে মানুষ আগের চেয়ে বেশি সচেতন হয়ে উঠেছে।
দল বেঁধে ব্যায়াম: বলিউড সেলেব্রিটিদের ইনস্টাগ্র্যাম ভিডিয়োতে দেখবে, দল বেঁধে ব্যায়াম করার প্রবণতা দিন-দিন বাড়ছে। করিনা কপূর খান ব্যায়াম করেন অমৃতা অরোরার সঙ্গে, আবার ক্যাটরিনা কইফের সঙ্গী হচ্ছেন আলিয়া ভট্ট, কৃতি স্যাননের সঙ্গী তাঁর দিদি নুপূর। একসঙ্গে ব্যায়াম করলে যেমন মোটিভেশন পাওয়া যায়, তেমন ট্রেনার শেয়ার করা যায় বলে খরচও কম হয়।
নিজের শরীরের ওজনটাকে বুদ্ধিমানের মতো ব্যবহার করো: ওয়েট ট্রেনিং নয়, নিজের শরীরের ওজনটাকেই ব্যবহার করো। তাতে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠবে তোমার কোর মাসলগুলি। তাতে শক্তি বাড়বে, বাড়বে তোমার ব্যালেন্স এবং ফ্লেক্সিবিলিটি।
স্ট্রেন্থ ট্রেনিং: স্ট্রেন্থ ট্রেনিং ছাড়া তোমার ব্যায়ামের রুটিন কমপ্লিট হবে না। শক্তি না বাড়লে বেশিরভাগ ব্যায়াম করতেও পারবে না। তাই শক্তি বাড়ানোর উপর জোর দাও। তবে শক্তি কিন্তু খুব ধীরে-ধীরে বাড়ে, রাতারাতি কোনও ফল পাবে না।