বহুল ভিউ হওয়া এ ছবিটিতে বাংলাদেশি পণ্যবিরোধী প্রচারণার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। চলচ্চিত্রটির একটি সংলাপে তার প্রমাণও মেলে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশিদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই মন্তব্য করেছেন ডেভিড চারহন পরিচালিত ফ্রেঞ্চ ভাষার এ ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যকে নিম্নমানের বলে প্রচার চালানো হচ্ছে।
ছবিটির ১ ঘণ্টা ৪১ মিনিটে শুরু হওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, একজন অভিনয়শিল্পী বলছেন, ‘হ্যাঁ, এটা বুলেটপ্রুফ’। প্রত্যুত্তরে আরেকজন বলেন, ‘এটা মেড ইন ফ্রান্স। তবে যদি এটি বাংলাদেশ থেকে আসে তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যাবো (নিম্নমানের)।’
নেটফ্লিক্স ব্যবহারকারী কানাডা প্রবাসি বাংলাদেশি সাংবাদিক মুহম্মদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘বিষয়টাকে নেহাত সিনেমার একটা ডায়লগ মনে করলে চরম বোকামি হবে। এটা খুব প্রচ্ছন্নভাবে করা হয়েছে বলেই ধরে নেওয়া ভালো। এবং বাংলাদেশের বা বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের নেগেটিভ ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য এসব মুভি যে মোক্ষম অস্ত্র তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না!’
অন্য একজন বাংলাদেশি লিখেছেন, ‘আমরা বুলেটপ্রুফ কিছু তৈরি করি না। তার পরেও এর সাথে বাংলাদেশের নাম জুড়ে নিম্নমানের প্রমাণ করাটা সত্যিকার অর্থে একটা গভীর চক্রান্ত। বিশেষ করে বাংলাদেশের পোশাক, চামড়া, ঔষধ এবং অন্যান্য রফতানিযোগ্য পণ্য ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে এসব করা হচ্ছে।’
তবে এমন ঘটনা ও প্রতিবাদের বিপরীতে এখনও নেটফ্লিক্স বা নির্মাণ কর্তৃপক্ষ থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের এ ছবিটি নির্মাণকারী দেশ ফ্রান্স। চলচ্চিত্রটির আইএমডিবি রেটিং ৫.৪।