১. গর্ভাবস্থার সময় মিলনের ফলে ভ্রূণ তথা বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। চিকিৎসকরা বলছেন, এ সময় ওয়েজাইনা স্ট্রেসের ফলে গর্ভাশয়ের বাইরের দিকে মিউকাসের একটা ভারী স্তর জমে যায়। যার ফলে মিলনের সময়ও গর্ভাশয়ের মধ্যে বাচ্চা সুরক্ষিত থাকে।
২. পেটের ভেতরে বেদনার অনুভূতি হলেই তা প্রসব যন্ত্রণার লক্ষণ না। অন্য কোন কারণেও হতে পারে।
৩. মিলনের পরে রক্ত ক্ষরণের মানে হলো মিসক্যারেজ হওয়া বা কোনো রকম ক্ষরণ হওয়া। এই সময় গর্ভাশয় খুবই স্পর্শকাতর থাকে, মিলনের পরে সামান্য রক্ত আসতে পারে, এটা খুবই সাধারণ বিষয়। কিন্তু যদি ব্লিডিং বেশি হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
৪. অনেকে মনে করে গর্ভাবস্থায় সময় শারীরিক সম্পর্ক করলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সঙ্গীর কোনো রকম যৌন রোগ না থাকলে ইনফেকশন হওয়া নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। এই রকম অবস্থায় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুব জরুরি।
গর্ভধারণের প্রথম পর্যায়টি অনেকের জন্যই হতে পারে ক্ষতিকারক। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস সহবাস থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কেননা এটি মা ও গর্ভের সন্তান উভয়ের জন্য ক্ষতি। সন্তান প্রসবের পর দেড় মাস স্ত্রীকে সহবাস থেকে বিশ্রাম দিতে হয়। কারণ এসময় জননতন্ত্র অত্যন্ত স্পর্শকাতর থাকে বলে, মিলনের ফলে প্রচুর রক্তপাত হতে পারে বা ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে।