পিজি হাসপাতালের ডা. শাহজাদা সেলিমের পরামর্শ : গরমে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয়
চলছে গ্রীষ্মকাল। এ সময় গরমের তীব্রতা একটু বেশি থাকে। তাই সব বয়সের মানুষের একটু বেশি সতর্ক থাকা উচিত। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের আরও যত্নবান হওয়া জরুরি, না হলে পানি শূন্যতা থেকে শুরু করে প্রস্রাবের প্রদাহ, ত্বকের সংক্রমণ, অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন রকম জটিলতা হতে পারে। এসব সমস্যা যে সব ডায়াবেটিস রোগীর কিডনি অবস্থা ভালো নয়/ উচ্চরক্তচাপ আছে/হৃদরোগ আছে অথবা যাদের বেশি পরিমাণে ইনসুুলিন লাগে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য, ডাইউরেটিক্স জাতীয় উচ্চরক্তচাপের ওষুধ সেবন করতে হয়, তাদের জোরালোভাবে আক্রান্ত করতে পারে। প্রখর উত্তাপ ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে সময় কাটানো আপনার শরীরে ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব
গরম আবহাওয়ার ডায়াবেটিসের ঝুঁকিগুলো : যারা ব্লাডসুগার কমানোর জন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন গরম আবহাওয়ায় তাদের হাইপোগ্লিসেমিয়া বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে। গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় শরীরে মেটাবোলিজমের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে হাইপোগ্লিসেমিয়া বাড়ারও সম্ভাবনা থাকে। * গরমে ঘর্মাক্ত বা ক্লান্ত হয়ে পড়া হাইপোগ্লেসিমিয়ার লক্ষণ হতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। গাড়ি চালানোর সময় নিজের বাড়তি যত্ন নিন এবং প্রতিবার দীর্ঘভ্রমণের আগে ও পরে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করুন। * হাইপো প্রতিরোধে, বিশেষত যখন গরমের মধ্যে শারীরিক পরিশ্রম করেন, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঘন ঘন পরীক্ষা করান। কার্বোহাইড্রেট থেকে দূরে থাকার জন্য গ্লুকোজ ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন। * স্থান এবং তাপমাত্রা পরিবর্তনের সময় আপনার দেহে ইনসুলিনের মাত্রা দেখে নিন। যদি ব্লাড সুগার কম বা বেশি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
ডা. শাহজাদা সেলিম, সহকারী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।