তারুণ্য ধরে রাখতে নারীরা যা করবেন

বয়স বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে চেহারার লাবণ্য। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে থাকে। তাই বেশির ভাগ নারীরা যেমন বয়স কমাতে চান আবার লুকাতেও চান। আপনি চাইলেই চেহারায় ধরে রাখতে পারেন তারুণ্য । বয়স বাড়লেও তার ছাপ পড়বে না চেহারায়। কিভাবে? নিচে তা তুলে ধরা হলো-

ময়েশ্চারাইজার: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ওপরের স্তরে আর্দ্রতা রক্ষাকারী মলিকিউলের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে। তাই সারা দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার ময়েশ্চারাইজার লাগান। হাইড্রেটিং সিরাম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার ব্যাপারে খুবই কাজের।

পানিপান: তারুণ্য ধরে রাখতে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। খাবারে রাখুন ফল, সালাদের মতো জিনিস। যোজন যোজন দূরে থাকবে ত্বকের শুকনোভাব।

চোখের কালো দাগ: বয়স ত্রিশে পার হতে না হতেই চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে থাকে। চোখের কোলে কালির সমস্যাও দেখা দেয় অন্যতম হাতিয়ার রেটিনল সমৃদ্ধ আই ক্রিম। রেটিনলে এ ভিটামিনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি হওয়ায় চোখের চারপাশের সংবেদনশীল ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। তবে দিনের বেলায় রোদের মধ্যে কখনও আই ক্রিম লাগাবেন না। সবসময় রাতে শুতে যাওয়ার আগে আই ক্রিম লাগান।

দিনের বেলা ফাউন্ডেশন নয়: দিনের বেলা ফাউন্ডেশনের বদলে এসপিএফ যুক্ত বিবি ক্রিম ব্যবহার করুন। পাউডার-বেসড মেকআপের বদলে নিয়ে আসুন লিকুইড মেকআপ। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে লিকুইড মেকআপ আদর্শ! ঠোঁট আর চোখের মেকআপ কেনার সময়ও লিকুইড প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে নেবেন।

সূর্যরশ্মি এড়িয়ে চলুন: গরমের দিনে ফুলস্লিভ জামাকাপড় পরে বাইরে বের হওয়া উচিত। গাড়িতে বসে থাকাকালীন এমনভাবে স্কার্ফ জড়িয়ে নিন, যাতে গাল ও ত্বকের কোনো অংশ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

প্রসাধনী পরিবর্তন নয়: লোশন, ক্রিম, সিরাম এগুলো অতিদ্রুত পাল্টানো ত্বকের জন্য ভালো নয়। অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ব্যবহার করলে অন্তত চার সপ্তাহ সময় দিতে হবে, যাতে ত্বক সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সুযোগ পায়।

ভালো ব্র্যান্ডের প্রসাধনী: ত্বকের জন্য ভালোমানের ও ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ও উপকরণ ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। ত্বকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই বিশষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে ও সে অনুযায়ী ত্বকের জন্য পণ্য ব্যবহার করতে হবে।

হাসিখুশি থাকুন: অতিরিক্ত রাগ, দুশ্চিন্তা, ক্ষোভ, ভীতি ত্বকের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। এতে করে ত্বকে বলিরেখা পড়তে পারে। চোখের নিচে কালির ও ত্বক কুঁচকে যাওয়ার অন্যতম কারণ স্ট্রেস। সবসময় চেষ্টা করুন ফুরফুরে মেজাজে থাকতে।

 

গর্ভবতী না হয়েও যে কারণে প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ হয়!