রাফির আর্তনাদের ভিডিও ভাইরাল
গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির মা শিরিন আক্তার।
ওই সময় যৌন হয়রানির শিকার নুসরাতের সাক্ষ্য নিয়েছিল সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। সাক্ষ্যটি ভিডিওতে ধারণ করে রাখা হয়েছিল। সেই ভিডিওচিত্র এখন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
আজ বৃহস্পতিবার সোনাগাজীর আলো নামে একটি ফেসবুক পেজে ওই ভিডিওটি শেয়ার করে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিলো- গত ২৭ মার্চ শ্লীলতাহানির চেষ্টার পর থানায় পুরো ঘটনা নিজ মুখে বর্ননা করেছেন নুসরাত (ভিডিও)।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভিডিও করার সময় রাফি কাঁদছিলেন এবং তার মুখ দু’হাতে ঢেকে রেখেছিলেন। ওসি বারবার বলছিলেন, ‘মুখ থেকে হাত সরাও, কান্না থামাও’। পাশাপাশি এও বলছিলেন, ‘এমন কিছু হয়নি যে এখনও তোমাকে কাঁদতে হবে।’
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, থানার ভেতরে রাফিকে জেরা করা হচ্ছে- ‘কিসে পড়া? ক্লাস ছিল?’ ঘটনা জানাতে গিয়ে নুসরাত বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন। সে সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হয়- ‘কারে কারে জানাইসো বিষয়টা?’
রাফি যখন জানায়- তাকে অধ্যক্ষ ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তখন প্রশ্ন করা হয়- ‘ডেকেছিল, নাকি তুমি ওখানে গেছিলা?’ পিয়নের মাধ্যমে ডেকেছিল বলে নুসরাত জানালে প্রশ্ন করা হয়- ‘পিয়নের মাধ্যমে ডেকেছিল? পিয়নের নাম কী?’ নুসরাত সে সময় পিয়নের নাম বলেন- ‘নূর আলম।’
পুরো ভিডিও জুড়েই রাফি কাঁদছিলেন। একসময় ভিডিওধারণকারী তাকে ধমকের সুরে বলে- ‘কাঁদলে আমি বুঝবো কী করে, তোমাকে বলতে হবে। এমন কিছু হয়নি যে তোমাকে কাঁদতে হবে।’
ভিডিওর শেষে রাফির কথা বলা শেষ হলে ধারণকারী বলেন- ‘এইটুকুই?’ আরও কিছু অশালীন উক্তির পাশাপাশি তাকে উদ্দেশ করে বলেন- ‘এটা কিছু না, কেউ লিখবেও না তোমার কথা। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। কিছু হয়নি। রাখো। তুমি বসো।’
এরইমধ্যে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে গত ৯ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কে এই ভিডিও করেছিল প্রশ্নে সোনাগাজী থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আজকে অনেকে বিষয়টি জানতে চেয়ে ফোন করায় আমি জানতে পেরেছি।
গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির মা শিরিন আক্তার।
ওই সময় যৌন হয়রানির শিকার নুসরাতের সাক্ষ্য নিয়েছিল সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। সাক্ষ্যটি ভিডিওতে ধারণ করে রাখা হয়েছিল। সেই ভিডিওচিত্র এখন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
আজ বৃহস্পতিবার সোনাগাজীর আলো নামে একটি ফেসবুক পেজে ওই ভিডিওটি শেয়ার করে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিলো- গত ২৭ মার্চ শ্লীলতাহানির চেষ্টার পর থানায় পুরো ঘটনা নিজ মুখে বর্ননা করেছেন নুসরাত (ভিডিও)।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভিডিও করার সময় রাফি কাঁদছিলেন এবং তার মুখ দু’হাতে ঢেকে রেখেছিলেন। ওসি বারবার বলছিলেন, ‘মুখ থেকে হাত সরাও, কান্না থামাও’। পাশাপাশি এও বলছিলেন, ‘এমন কিছু হয়নি যে এখনও তোমাকে কাঁদতে হবে।’
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, থানার ভেতরে রাফিকে জেরা করা হচ্ছে- ‘কিসে পড়া? ক্লাস ছিল?’ ঘটনা জানাতে গিয়ে নুসরাত বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন। সে সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হয়- ‘কারে কারে জানাইসো বিষয়টা?’
রাফি যখন জানায়- তাকে অধ্যক্ষ ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তখন প্রশ্ন করা হয়- ‘ডেকেছিল, নাকি তুমি ওখানে গেছিলা?’ পিয়নের মাধ্যমে ডেকেছিল বলে নুসরাত জানালে প্রশ্ন করা হয়- ‘পিয়নের মাধ্যমে ডেকেছিল? পিয়নের নাম কী?’ নুসরাত সে সময় পিয়নের নাম বলেন- ‘নূর আলম।’
পুরো ভিডিও জুড়েই রাফি কাঁদছিলেন। একসময় ভিডিওধারণকারী তাকে ধমকের সুরে বলে- ‘কাঁদলে আমি বুঝবো কী করে, তোমাকে বলতে হবে। এমন কিছু হয়নি যে তোমাকে কাঁদতে হবে।’
ভিডিওর শেষে রাফির কথা বলা শেষ হলে ধারণকারী বলেন- ‘এইটুকুই?’ আরও কিছু অশালীন উক্তির পাশাপাশি তাকে উদ্দেশ করে বলেন- ‘এটা কিছু না, কেউ লিখবেও না তোমার কথা। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। কিছু হয়নি। রাখো। তুমি বসো।’
এরইমধ্যে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে গত ৯ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কে এই ভিডিও করেছিল প্রশ্নে সোনাগাজী থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আজকে অনেকে বিষয়টি জানতে চেয়ে ফোন করায় আমি জানতে পেরেছি।