তিনি বলেন, বিজ্ঞাপন সংশ্লিষ্ট জটিলতার কারণে নির্দেশনা এসেছে। তাই আমরা গতকাল জি বাংলাসহ জি নেট ওয়ার্কের সকল চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছি। এখন ভারতের বাকি চ্যানেলগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে ক্যাবল ব্যবসার জন্য এটাকে হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে কোয়াবের এই নেতা বলেন, কোনো বিষয়কে এইভাবে প্রতিরোধ করে ফল পাওয়া যাবে না। আপনি কীভাবে ইউটিউব বন্ধ করবেন? আমাদের প্রথমে বলা হলো দেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে না। পরে বলা হলো কোনো বিদেশি বিজ্ঞাপনও দেখানো যাবে না। এভাবে কোনো পে চ্যানেল চালানো সম্ভব না।
কোনও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এসব চ্যানেল বন্ধ রাখা হবে কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন তো উপায় দেখছি না। হ্যাঁ হয়ে যাবে বন্ধ। বিবিসি সিএনএন- ও বন্ধ হয়ে যাবে। আর বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোর সাবস্ক্রাইবার দিয়ে আমরা চ্যানেল ব্যবসা চালাবো। চিন্তা করুন কী হচ্ছে অবস্থা।
ক্যাবল অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘জাদু ডিজিটালের’ কাস্টমার সার্ভিস কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশে চ্যানেলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন,২০০৬’ এর উপধারা-১৯(১৩) এর বিধান অনুযায়ী,বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বিদেশি কোনও চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ।
গত শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। ‘সংকটে বেসরকারি টেলিভিশন’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র।
সেখানে তথ্যমন্ত্রী কেবল অপারেটরদের উদ্দেশে বলেন, ডাউন লিংক করে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধু এ–সংক্রান্ত আইন যথাযথভাবে মানা হলে বছরে দেশে ৫০০ কোটি টাকা বাড়বে। তিনি টেলিভিশনে বিদ্যমান সমস্যার কথা ইঙ্গিত করে বলেন, ‘টিভিশিল্পকে সুরক্ষা দিতে আসুন সবাই একযোগে কাজ করি।’