দশটি গুণ থাকলেই সম্পর্কে আসবে সুখ

 

দশটি গুণ থাকলেই সম্পর্কে আসবে সুখ

 

বহু প্রতীক্ষা বহু চড়াই-উতরাই পেরোনোর পর নারী-পুরুষের সম্পর্ক দাঁড়ায়। এই সময়টিকেই  বলা হয় ‘সুপার রোম্যান্টিক মোমেন্ট’ বা চরম রোম্যান্টিক মুহূর্ত। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে এমন দশটি গুণ অথবা মূল্যবান মুহূর্ত এসেছে কিনা- তা কী আপনি নিজেও জানেন?

বিষয়টি যাচাই করতে পারেন কয়েকটি লক্ষণ দিয়ে। নিচে দেওয়া হলো এমন ১০ লক্ষণ:

১। আপনাদের মাঝে কোনো দেয়াল নেই
‘আপনি অন্যরকম মানুষ’- নিজের সম্পর্কে এমন কথা বলার কী প্রয়োজন আছে এখন? যদি প্রয়োজন না থাকে তবে বুঝে নিতে পারেন, আপনাদের মাঝে আরো কোনো দেয়াল নেই। নিজের কোনো কিছুই গোপন করার নেই, প্রয়োজন নেই কোনো গোপন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার। অর্থাৎ আপনি এখন অবস্থান করছেন চরম রোম্যান্টিক মুহূর্তে।

২। নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে কথোপকথন
কল্পনার জগৎ সরে গেছেন অনেক আগে। যখন তার সঙ্গে কথা বলছেন, ভালো করেই জানেন আপনি মাটির ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। আর কথা হচ্ছে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আপনাদের সম্পর্ক যে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটি তার বড় লক্ষণ।

৩। যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরস্পরের মত চাওয়া
হ্যাঁ, ব্যাপারটি আপনার অলক্ষ্যেই ঘটতে থাকবে। একটু সচেতন হলেই বুঝতে পারবেন, আপনি সব ব্যাপারেই ‘তার’ মত নিচ্ছেন। অর্থাৎ এখন আর বলা যাবে না, আপনি তার থেকে দূরে, কিংবা সে আপনার সবচেয়ে নিকটতমদের একজন নয়।

৪। তার বন্ধুরাও আপনার নিকটতমদের ভেতর 
একটা সময় ছিল, কেবল তাকে কাছে পাওয়ার জন্য আপনি ছিলেন ব্যাকুল। আর এখন, সে তো দূরে থাক, তার বন্ধুরাও আপনার নিকটতম মানুষগুলোর ভেতর পড়ে। ব্যাপারটি ভাবতে পারেন? হ্যাঁ, আপনি নিজেই ভাবেন, আপনাদের সম্পর্ক এখন কোন পর্যায়ে!

৫। একজনের ওয়ালে অন্যজনের প্রতিচ্ছবি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে সবচেয়ে গোপন বিষয় হলো পাসওয়ার্ড। এমনকি পরিবারের সদস্যদের কাছেও বিষয়টি গোপনীয়। যখন নির্দিষ্ট কেউ সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন- তখন তা নিশ্চিত বলছে আপনাদের সম্পর্ক আর সাধারণ অবস্থানে নেই।

৬। একসঙ্গে নাটক সিনেমা দেখা
টেলিভিশন সেটের সামনে বসে আসেন দুজন। নাটক সিনেমা দেখছেন, চিপস বাদাম চিবোচ্ছেন। এর অর্থ এই নয়, কেবল আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। বরং অলক্ষ্যে এটিই তুলে ধরে, দুজন আসলে ভাগাভাগি করছেন পরস্পরের বিশ্বাস, একই বাহনে চলেছেন ভবিষ্যতের পরিকল্পনার দিকে। সাধারণ সম্পর্কে এটি সম্ভব নয়।

৭। তর্কযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া
তার সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া- এটি নিঃসন্দেহে সিরিয়াস সম্পর্কের অংশ। সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখতে আর ভবিষ্যতে একসঙ্গে চলতে এটি অপরিহার্য। কোনো দম্পতি-ই নদীতে পাল তোলা নৌকার মতো চলে না। মতের পার্থক্য প্রত্যেকের ভেতর বিদ্যমান। কিন্তু কোন সঙ্গী কতটুকু স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে, আর এ নিয়ে লিপ্ত হতে পারে তর্কযুদ্ধে- সেটিই নির্ধারণ করে দেয় সম্পর্কের গভীরতা।

৮। সঙ্গীর পরিবারের সদস্যরাও আপনাকে তাদের একজন ভাবেন 
সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক কেবল দুইজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। সম্পর্ক যত গভীর হয় ততই ছাড়িয়ে যায় যৌথ গণ্ডির বাইরে। পরস্পরের বন্ধু স্বজন পরিবারের সদস্য সব তখন একাকার। এমনটি হলে আপনিও পাচ্ছেন গভীর সম্পর্কের সুখ।

৯। আপনার সঙ্গী কোথায় যায়, কী করে?
অনেকগুলো স্তর পার হয়ে তবেই আপনাকে পৌঁছাতে হয় সম্পর্কের বিশেষ স্তরে। যখন দেখছেন সঙ্গীটি কোথায় যাচ্ছে, কী করছে- এসব ভাবছেন না, তার মানে আপনি সেই বিশেষ স্তরেই আছেন। অর্থাৎ পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশ আগেই। সম্পর্কের গভীরতা স্পষ্ট লক্ষণ এটি।

১০। সঙ্গীর আবেগ অনুভূতি পড়তে পারেন
সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানুষের যোগ্যতার চূড়ান্ত হলো সঙ্গীর ভেতরের মানুষটিকে স্পর্শ করতে পারা। মুখের ভাষায় ভাব প্রকাশের অনেক আগেই আপনি পৌঁছে যান সঙ্গীর অন্তর্জগতে। সেখানে পড়তে পারেন তার সব না বলা কথাগুলো। এমন হলে আপনি সুখেই সময় যাপন করছেন সম্পর্কের চূড়ান্ত স্তরে। সুতরাং, ভালো থাকুন, সুখে থাকুন।

সূত্র: এলিট ডেইলি

দশটি গুণ