তাসনীম সিদ্দিকা: এখনও ঘন কুয়াশার চাদরে আচ্ছাদিত চারিদিকের পরিবেশ। যখন চারিদিক জরাজীর্ণ তখন প্রকৃতি কন্যা নামে খ্যাত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বাকৃবি) তার সৌন্দর্য চারিদিকের মলিনতাকে দূরে সরিয়ে দেয়। চারিদিকে বাহারি রঙের নতুন ফুলে সজ্জিত হয়ে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রাঙ্গণ।

শীতের এই নির্জীবতাকে ভুলিয়ে দিয়ে চারিদিকের ফুলের সমারোহ প্রাণবন্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বাকৃবি) এই নয়নাভিরাম সৌন্দর্যেও পেছনে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরলস প্রচেষ্টা। বাগান তৈরি ও ফুলগুলোর পরিচর্যার জন্য লোকবল নিয়োগ করা হয়। তারা চারা রোপণ থেকে শুরু করে সার দেওয়া এবং পরিচর্যার সকল কাজ করে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের বাগান। বিশেষ করে প্রশাসনিক ভবনসমূহ, বোটানিক্যাল গার্ডেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে, সমাবর্তন চত্বর, বিভিন্ন অনুষদের ভবনের সামনে, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে, হলের ভেতরে এবং বাইরেসহ ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানে ফুলের বাগান। কিন্তু সকলের যে স্থানটি আকর্ষিত করে সেটি হলো সমাবর্তন চত্বর। পুরো মাঠ জুড়ে লাল, সবুজ, গোলাপি, সাদা রঙের ফুল সে সাথে রয়েছে বাগানবিলাস যা প্রকৃতিপ্রেমিদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। বাগানে ফুটেছে নানা রঙের ফুল যেমন গাঁদা,মোরগঝুঁটি,চন্দ্রমল্লিকা, জুঁই,টগর,বেলিফুলসহ আরও হরেক রঙের হরেক প্রজাতির ফুল।
প্রাত্যহিক জীবনের ব্যস্ততা এবং ক্লান্তিকে পিছনে ফেলতে প্রায় প্রতিদিন ক্যাম্পাসে প্রকৃতির টানে অবসর সময়ে বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন অনেকে। দিনের বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন এলাকা এমনকি অনেক স্কুল-কলেজ শিক্ষাসফরে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসে। তাদের পদচারণায় মুখরিত থাকে বাকৃবির সবুজ ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, বিকেলে পরিবারের সদস্যদের সাথে ফুলের এই স্বর্গে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগছে। সারা সপ্তাহের ব্যস্ততা ফেলে প্রকৃতি ও প্রিয়জনদের সাথে সময়টা বেশ আনন্দের।
লেখক: শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়