Wednesday, March 29
Shadow

Islam

ইসলামের দৃষ্টিতে ঘরের বাইরে নারীর কাজ

ইসলামের দৃষ্টিতে ঘরের বাইরে নারীর কাজ

Islam
নারীর ব্যয়ভার পর্যায়ক্রমে পিতা, স্বামী ও সন্তানের ওপর ন্যস্ত। তা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ইসলাম নারীর জন্য স্বহস্তে উপার্জনের পথ খোলা রেখেছে। শরিয়তের বিধান মেনে মুসলিম নারীরাও উপার্জন করতে পারে। চাকরি করতে পারে, ব্যবসা করতে পারে। কৃষিকাজে শরিক হতে পারে। মহান আল্লাহ ব্যবসার বৈধতা দিয়েছেন। এই বৈধতা নারী ও পুরুষ সবার জন্য। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের সুরা : নিসা, আয়াত : ২৯ নম্বরে পরিষ্কার নির্দেশনা রয়েছে। ইসলাম বিনা প্রয়োজনে নারীকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে। আর জাহেলি যুগের মতো নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াবে না...। ’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৩) তবে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নারীরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে। মা-বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ, স্বজনের মৃত্যু, বিবাহ-অনুষ্ঠান, চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে। ইসলামের সোনালি যুগে ব্যবস...
ইসলামে আলগা চুল লাগানো জায়েজ? বিচ্ছেদের পর সন্তান কার কাছে থাকবে?

ইসলামে আলগা চুল লাগানো জায়েজ? বিচ্ছেদের পর সন্তান কার কাছে থাকবে?

Islam, প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: টাক মাথায় কি কৃত্রিম ও আলগা চুল লাগানো জায়েজ? উত্তর: স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে টাক মাথায় কৃত্রিম ও আলগা চুল লাগানো জায়েজ নেই। কেননা, হাদিস শরিফে এসেছে-‘আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, যে কৃত্রিম চুল লাগিয়ে দিতে বলে এবং যে লাগায়; দুজনের উপরে আল্লাহর রাসুল (সা.) লানত ও অভিসম্পাত করেছেন।’ (নাসায়ী শরিফ, হাদিস: ৯৩৭৪) টাক মাথায় চুল লাগানো আল্লাহর সৃষ্টিতে অপ্রয়োজনে হস্তক্ষেপের শামিল, যা ইসলামে নিষিদ্ধ। তবে ইসলামি আইনজ্ঞরা বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে টাক মাথায় চুল লাগানো যেতে পারে। যেমন: চুল পড়ে যাওয়ার কারণে কোন যুবতীর বিয়ে হচ্ছে না ইত্যাদি। তথ্যসূত্র: রদ্দুল মুহতার ৬/৩৭৩, উমদাতুল কারী ২২/৬৪   প্রশ্ন: কোন মসজিদে একই ওয়াক্তের নামাজের একাধিক জামাত করা যাবে? উত্তর: কোন মসজিদে একই ওয়াক্তে কিংবা একই সময়ে সামনে-পেছনে একাধিক জামাত করা যাবে না। আব্দুর রহমান বিন মুজবার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন...
ভুল ধারণা!“দানশীল ব্যক্তি আল্লাহ্‌র প্রিয় যদিও সে কাফের হয়”

ভুল ধারণা!“দানশীল ব্যক্তি আল্লাহ্‌র প্রিয় যদিও সে কাফের হয়”

Islam
জামাল হোসেন: “দানশীল ব্যক্তি আল্লাহ্‌র প্রিয় যদিও সে কাফের হয়”। কেও কেও এই উক্তিটিকে হাদিস হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন অথচ এটা হাদিস নয়, অতি উৎসাহী কোন ব্যাক্তির কথা। খাজা মিজামুদ্দীন আউলীয়া (রাহঃ) কে এই উক্তিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এটা হাদিস নয়; কারও উক্তি। (ফাওয়ায়েদুল ফুয়াদ ১০৩, তারীখে দাওয়াত ও আযীমত ৩/১২৭-১২৮) এই কথাটিও ঠিক নয়। কারণ আল্লাহ্‌র নিকট এই দান গ্রহন যোগ্য, যা ইমান ও ইখলাসের সাথে হয়ে থাকে। ইমান নাই এমন লোকের দান সম্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেন, “ আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করব। এরপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকণারুপ করে দিব”।(সুরা-ফুরকান আয়াত-২৩) এই আয়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, যে আমলে আন্তরিকতা থাকবেনা আল্লাহ্‌র শরীয়াত অনুযায়ী যে আমল হবে না তা বাতিল এবং বিফল হয়ে যাবে। কাফেরদের আমলে এই দুটির কোনটিই নেই। ফলেই তা কবুল হওয়ার কোন সুযোগ নাই। এজন্য আল্লাহ্‌ বলছেন যে আমি তাদের...
আল কুরআনের ভাষা ও পার্শিয়ান গোলকধাঁধা

আল কুরআনের ভাষা ও পার্শিয়ান গোলকধাঁধা

Islam
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ওফাতের প্রায় চার প্রজন্ম পরে ইংরেজি অষ্টম থেকে নবম শতকে আল-কুরআনের প্রথম ফারসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। অনুবাদের ক্ষেত্রে কুরআনের ভাষাকে প্রচলিত আদর্শ আরবি থেকে আলাদা করে উপস্থাপন করা হয়। আমাদেরকে বুঝানো হয় কোরআনের ভাষা আরবি হলেও এটা আলাদা। প্রচলিত আরবি ভাষা থেকে এটি ভিন্ন। মূলত পার্শিয়ান স্কলাররা আরবি ভাষার সাথে প্রায় সমুচ্চারিত ফারসি ভাষার মিশ্রণ ঘটিয়ে এই কাজটি করতে সক্ষম হয়। যার মাধ্যমে আল কোরআনের প্রকৃত বার্তাকে তাদের ধর্ম মতে বিকৃত করা হয়। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনছেন, বর্তমানে আল কোরআনের যে অর্থ প্রচলিত আছে তা আরবদের প্রচলিত আরবি ভাষা থেকে ভিন্ন। আরবদের দৈনন্দিন জীবনে কোরআনের যে শব্দগুলো ব্যবহার করে তা কুরআনের অর্থ হতে আলাদা। যেমন আমরা কোরানিক শব্দ জান্নাত অর্থ বাগান বুঝলেও আরবরা বুঝে কবরস্থান (যেখান থেকে নতুন জীবন তথা পরবর্তী জীবন শুরু হয়), উদাহরণ: জান্নাতুল বাকি। ...
জাকাত ব্যবস্থাপনা : সংগ্রহ কৌশল ও বণ্টন প্রক্রিয়া

জাকাত ব্যবস্থাপনা : সংগ্রহ কৌশল ও বণ্টন প্রক্রিয়া

Islam
এ প্রবন্ধের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো জাকাতের ধর্মতাত্ত্বিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ। ইসলামের অন্যতম পঞ্চ স্তম্ভ জাকাতকে একটি এবাদত হিসেবে বিবেচনার পাশাপাশি উন্নয়ন অর্থনীতি ও বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের নিয়ামক হিসেবে একে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাকাতের অর্থ সংগ্রহ, এর প্রাতিষ্ঠানিক স্থাপনা ও নীতি ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি জাকাতলব্ধ অর্থ বিতরণ প্রক্রিয়া বর্তমান প্রবন্ধের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।   আল কুরআনের অসংখ্য আয়াতে নামাজের পাশাপাশি জাকাত আদায়ের জন্য আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন: ‘তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠিত করো এবং জাকাত প্রদান করো।’ (আল্ কুরআন, ..:)। বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে: ‘ইসলামের ভিত্তি ৫টি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত।’ (আল্ বুখারী, কিতাবুল ঈমান)। এ দীর্ঘ হাদিসে জাকাতকে তৃতীয় স্তম্ভ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অতীব দুঃখের বিষয় হলো, মুসলিম সমাজ একে নিছক একটি ধর্মীয় উ...
How far do you have to travel to pray Qasr Salat ?

How far do you have to travel to pray Qasr Salat ?

Islam, প্রশ্ন ও উত্তর
The rules for Qasr Salat is described below. If a person crosses his area (village, city boundary) with the intention of traveling 48 miles or about 77.25 kilometers away from his place of residence, he will be considered as a Shariah traveler. A maximum of 14 days tour will be considered as Shariah tour. In this case he/she visit somewhere other than his/her permanent or temporary residence (workplace, dormitory etc.). For the Shari'ah traveler, one has to perform the prayers during the journey. He/She will perform two rak'ats in Fajr, two rak'ats in Zuhr, two rak'ats in Asr, three rak'ats in Maghrib and two rak'ats in Isha.   References: Raddul Muhtar 2/128, Raddul Muhtar 1/835, Raddul Muhtar 1/642, A'laus Sunan 7/191, Badayous Sanaye 1/104.
দোয়ায় আমরা যে সব ভুল করে থাকি

দোয়ায় আমরা যে সব ভুল করে থাকি

Islam
দু’আতে আমরা যে সব ভুল করে থাকি। দোয়া করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন। দোয়া যেভাবে করলে ভুল হবে। ১। শির্ক জাতীয় দু’আ করা। ২। শরীয়ত যা হবে বলে, তা না হতে দু’আ করা; যেমন বলা যে, ‘আল্লাহ্‌! তুমি কিয়ামত কায়েম করো না, কাফেরকে আযাব দিয়ো না’। ৩। শরীয়ত যা হবে না বলে, তা হতে দু’আ করা; যেমন বলা যে, ‘আল্লাহ্‌! তুমি কাফেরকে বেহেশত দান কর, আমাকে দুনিয়ায় চিরস্থায়ী কর, আমাকে গায়েবী ইল্‌ম দাও ইত্যাদি। ৪। জ্ঞান ও বিবেকে যা হওয়া সম্ভব, তা না হতে দু’আ করা। ৫। জ্ঞান ও বিবেকে যা হওয়া অসম্ভব তা হওয়ার জন্য প্রার্থনা করা। ৬। শরীয়তে যা হবে না বলে শুনা যায়, পুনরায় তা না হতে প্রার্থনা করা। ৭। শরীয়তে যা হবে বলে শুনা যায়, পুনরায় তা হতে দু’আ করা। ৮। প্রার্থিত বিষয়কে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় দেওয়া; যেমন, ‘হে ‘আল্লাহ্‌! তুমি যদি চাও তাহলে আমাকে ক্ষমা কর’ ইত্যাদি। ৯। অন্যায়ভাবে কারো উপর বদ্দুআ করা। ১০। কোনও হারাম বিষয় প্রার্থনা ...
কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত কী?

কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত কী?

Islam, প্রশ্ন ও উত্তর
প্রিয় নবী (সঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র কিতাবের একটি অক্ষর পাঠ করবে, সে এর বিনিময়ে একটি নেকি পাবে।আর একটি নেকি দশ গুন করা হবে। আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মিম’ একটি অক্ষর। বরং এতে রয়েছে তিনটি অক্ষর”। (তিরমিযী ৫/১৭৫) “তোমরা কোরআন পাঠ কর। কারণ তা কেয়ামতের দিন পাঠকারীদের জন্য সুপারিশকারী রূপে আবির্ভূত হবে”। (মুসলিম) “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়”।  (বুখারী৬/১০৮) “মসজিদে গিয়ে একটি আয়াত শিক্ষা করা বা মুখস্থ করা একটি বৃহদাকার উট পাওয়ার চেয়েও উত্তম”। (মুসলিম) “যে ব্যক্তি কষ্ট করেও কোরআন শুদ্ধ করে পড়ার চেষ্টা করে, তার দ্বিগুণ সওয়াব”। (বুখারী ও মুসলিম) “মর্যাদায় সবচেয়ে বড় সূরা হল, সূরা ফাতেহা”। (বুখারী) “যে ঘরে সূরা বাকারাহ তেলাওয়াত  হয়, সে ঘরে শয়তান (জিন) প্রবেশ করে না”। (মুসলিম) “মর্যাদায় সবচেয়ে বড় আয়াত, আয়াতুল কুরসী”। (মুসলিম) “সূরা কাহফের প্...
৩০০ জনকে ইফতার দিলো স্বপ্নছায়া

৩০০ জনকে ইফতার দিলো স্বপ্নছায়া

Islam
গত ৯ ই রোজা ও ১৪ ই রোজায় স্বপ্নছায়া প্রায় ৩০০ মানুষের ইফতার এর আয়োজন করেছে। ৯ রোজায় ঢাকার গোড়ান বাজার এতিমখানায় স্বপ্নচায়ার দল ১৩০ জনের ইফতার ব্যাবস্থা করে, এতিম শিশুদের সাথে  তারা দারুণ কিছু সময় কাটায়। ১৪ রোজায় কুমিল্লার শাকতলা ,বিসিক,রেইস কোর্স ৩ টি এতিমখানা ও মাদ্রাসায় এই ইফতার বিতরণ হয়।। ৩০০ মানুষের ইফতার আয়োজন শেষেও তারা থেমে নেই।সামনে তাদের ঈদ এর ইভেন্ট আছে।এখন তারা ঈদ ইভেন্ট এর জন্য মুখিয়ে আছে।...
তাশাহহুদের সময় তর্জনী নাড়ানোর বিধান কি?

তাশাহহুদের সময় তর্জনী নাড়ানোর বিধান কি?

Islam
তাশাহহুদের সময় তর্জনী নাড়ানো শুধুমাত্র দু’আর সময় হবে। পূরা তাশাহহুদে নয়। যেমনটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ “তিনি (রাসূলুল্লাহ সা.) উহা নাড়াতেন ও দু’আ করতেন।” এর কারণ হচ্ছেঃ দু’আ আল্লাহ্‌র কাছেই করা হয়। আর আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা (তাঁর যাতসত্ত্বা) আসমানে আছেন। তাই তাঁকে আহবান করার সময় উপরে আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করবে। আল্লাহ্‌ বলেন, أَأَمِنتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يَخْسِفَ بِكُمْ الأَرْضَ فَإِذَا هِيَ تَمُورُ، أَمْ أَمِنتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ نَذِيرِ “তোমরা কি নিরাপদে আছ সেই সত্বা থেকে যিনি আসমানে আছেন যে, তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দিবেন না? তখন আকস্মিকভাবে যমীন থরথর করে কাঁপতে থাকবে। অথবা নাকি তোমরা নিরাপদ আছ সেই সত্বার ব্যাপারে যিনি আসমানের অধিপতি তোমাদের উপর কঙ্করবর্ষী ঝঞ্ঝা প্রেরণ করবেন না? তখন তোমরা জানতে পা...

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!