
ভয়াল : ধ্রুব নীলের হরর গল্প
হেমন্তের শুরুতে শীত শীত লাগা এক সন্ধ্যায় কিশোরী বিনু বুঝতে পারল তার ভয়ডর কম। নেই বললেই চলে। লাতু মুনসির মতো পালোয়ানও নির্ঘাৎ অজ্ঞান হয়ে যেত। বিনু ভয় তো পেলই না, উল্টো জিনিসটাকে হাতে নিয়ে বাড়িতে এলো। এসেই বিড় বিড় করতে থাকল, এখন এটারে লুকাই কই, রক্ত পামু কই, কী আপদ নিয়া আইলাম!
শাহ দৌলতপুর গ্রামের পশ্চিম সীমানায় পুরানা ভাঙা জমিদার বাড়ি। শিয়াল আর সাপখোপের আনাগোনা থাকায় ওই বাড়ির ত্রিসীমানা সুরক্ষিত। তবে ডোবা ঘেঁষে থাকা পশ্চিমের ভাঙাচোরা দেয়াল আর দুটো সুপারি গাছের মাঝ দিয়ে চার নম্বর সীমানাটা আবিষ্কার করে ফেলল কানাই তরফদারের মেয়ে বিনু। হেমন্তের ওই বিকালে বাড়িটার উঠানে থাকা ডেউয়া খাবে ঠিক করল। পা টিপে পা টিপে ঢুকে পড়ল বুনোলতায় ঠাঁসা ঘরটার অন্দরমহলে। উৎকট গন্ধে নাক চেপে ধরলেও কান খোলা। শুনতে পেল ঘরের ভেতর থেকেই কেউ একজন ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলল, ‘কে গো! এককু রক্ক দিবানি? কে গ...