Sunday, June 4
Shadow

Stories

ধ্রুব নীলের পরাবাস্তব হরর গল্প : টোপ 

ধ্রুব নীলের পরাবাস্তব হরর গল্প : টোপ 

Stories
ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক পরাবাস্তব হরর গল্প টোপ  ‘আপনারে একটা জিনিস দেখাব। ভয়ানক জিনিস।’ধীরে, গুছিয়ে ও তাগাদা চাপা দেওয়ার কৃত্রিম চেষ্টা করে কথাটা বলল লোকটা। মুখে চওড়া হাসি টেনে বোঝানোর চেষ্টা করছে, কথাটা শুনে যেন গ্রামে বেড়াতে আসা খ্যাতনামা অভিনেতা অরিন্দম চক্রবর্তী তাকে পাগল না ভেবে বসে। যদিও এমনটা ভাবার বিশেষ কারণ ছিল না এবং লোকটার গায়ের ছেঁড়া চাদর ও উঁচু-নিচু হয়ে থাকা প্যান্ট দেখে যে তাকে উদ্ভটই ভাবতে হবে, এমন কথা নেই।‘জি দেখব।’লোকটা আরও বিনয়ী হওয়ার চেষ্টা করল এবং এ কাজে চওড়া কৃত্রিম হাসিই যেন একমাত্র সম্বল। সে চাইলে চাদরটা আরও শক্ত করে জড়িয়ে, হাত ঘষাঘষি করে মাথা নিচু করে এবং অকারণে পাখির ডাকের মতো শব্দ করে থুথু ফেলে পরিবেশ পাল্টে দিতে পারে মুহূর্তে। কিন্তু অরিন্দম চক্রবর্তীর কথার কোনে লুকিয়ে থাকা শ্লেষটা ধরতে পারল না। কোথায় কখন আসতে হবে, তা না জেনেই ‘যাবে’ বলেছ...
রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

Stories
ছয় জগতের ছয়জন মানুষ। আচমকা একদিন আটকা পড়েছেন একটি ঘরে। সেখানে বেজে চলেছে একটি রেকর্ডিং। বদ্ধ সেই ঘরে নেই কোনো খাবার। আছে শুধু ছয়টি পানির বোতল। ভেতরের ছয়জনকে খেলতে হবে একটি খেলা। যে খেলার ফল ঠিক করে দেবে ছয়জনের মধ্যে কারা শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। গল্পটি লিখেছেন জনপ্রিয় গল্পকার ধ্রুব নীলএই লেখকের সমস্ত বই পাবেন এই লিংকে ধ্রুব নীলের রক্তখেলা ( রহস্য ও থ্রিলার গল্প ) পর্ব-১কাবাডি ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি। খেলার নাম কাবাডি। নিয়মটা হলো…।’‘কে!’যে চেঁচিয়ে উঠল তার ঘুম ভেঙেছিল সবার আগে। টিমটিমে একটা টিউবলাইটের আলোয় চোখ সয়ে আসার পর কোটের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে পুরোনো ঘরটার মলিন আসবাব ও ছুড়ে ফেলা জামাকাপড়ের মতো দলা পাকিয়ে থাকা বাকি দেহগুলোও তার নজরে আসে। শুনতে পায় রেডিওর অনুষ্ঠানে বিরতিতে বেজে ওঠা স্টিংগারের মতো মিউজিক। এরপর রেকর্ড করা কণ্ঠ- ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি…।’‘কে কথা বলে! বেরিয়ে আসেন।...
গল্প: গুম

গল্প: গুম

Stories
আমি ভাবছিলাম রসুনরঙের দিনগুলোর কথা। যখন রোদের আলো তেরছাভাবে এসে পড়ত মানুষের গায়ে আর রসুনের ক্ষেতে। মানুষ নিজে এ রোদ থেকে বাঁচতে চাইলেও রসুনের ক্ষেতকে থাকতে দিতে চাইত এ রোদের তলেই। এরপর রসুনগুলো তাদের বার্ধক্যের কাছাকাছি এলেই এনে জড়ো করা হতো পুরাতন পৃথিবীতে বেড়ে ওঠা কোনো এক ঘরে। সেই ঘরের ওপরের দিকে ছনের চালার ঠিক নিচে, আগে থেকে বেঁধে রাখা বাঁশের কাঠামোর মধ্যে গিট্টু দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। আর একটা বালক পথ ভুলে সেই পুরাতন পৃথিবীর ঘরটাতে গিয়ে তাকাত ঝুলন্ত রসুনগুলোর দিকে। রসুনের ঝাঁজ নাকে প্রবেশ করতেই তার মনে হয়েছিল, একদিন সে এই গন্ধের কথা বলবে সবাইকে। ঠিক এ সময় আমার পাশের খালি সিটটিতে আমারই বয়সী একটা লোক এসে বসলে আমি তাকাই তার দিকে। তাকে আমার পরিচিত কেউ মনে হয় না। যদিও আমরা একই শহরে যাব, শুধু আমরা না, এ বাসের সব যাত্রীই। তবুও কাউকেই আমার পরিচিত মনে হয় না। আমি প্রতিবারই বাস...
ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি

ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি

Stories
আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি ধ্রুব নীল চুলায় ডাল ফুটে উঠতেই রাবেয়ার বুক কাঁপতে শুরু করে। বারবার মিলির দিকে তাকায়। মনের মধ্যে কু-প্রশ্ন ভর করে—এই ডাল যদি মিলির গায়ে ছিটকে পড়ে! মিলি রাবেয়ার একমাত্র মেয়ে। বয়স ছ-সাত হবে। মিলি চায় রাতের বেলায় মায়ের পাশে গুটিসুটি মেরে বসবে আর মাটির চুলায় লাকড়ি ঠেলবে। রাবেয়া সেটা হতে দেয় না। কড়া ইশারায় মিলিকে বুঝিয়ে দিল চুলার আসপাশ আসলে তার পিঠে লাকড়ি ভাঙা হবে। রাবেয়া নিজেও জানে তার এ ভয় অহেতুক। ফুটন্ত ডাল খামাকা মেয়ের গায়ে পড়বে কেন? ‘আম্মা, একটা হিয়াল।’ ‘কোনো দিক যাবি না কইলাম। চুপচাপ ঘরে বইসা থাক। কোন দিকে হিয়াল?’ ‘জানি না।’ ‘কই দেখছস? সামনে যাইস না কইলাম।’ ‘ঘরের পিছে। ডেউয়া গাছের তলায়।’ রাবেয়ার মনে হলো তার লাফিয়ে উঠে এগিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু নড়তে পারল না। হাত-পা অবশ লাগছে। চোখ বন্ধ করে দোয়া-দুরুদ...
রতনতনু ঘোষ’র শেষ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত

রতনতনু ঘোষ’র শেষ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত

Stories
রতনতনু ঘোষ ছিলেন অকালপ্রয়াত প্রতিভা। প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গবেষণা, সাক্ষাৎকার, কলাম থেকে কবিতাÑ সব ধরনের লেখাজোকাতেই সিদ্ধহস্ত। ২০১৬ সালে সড়কে চলাচল অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি গতায়ু হন। মৌলিক ও সম্পাদনা মিলিয়ে জীবদ্দশায় প্রায় ৭৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে। আরও কয়েকটি রয়ে গেছে অপ্রকাশিত অবস্থায়। রতনতনু ঘোষ’র ঘনিষ্ঠজন তরুণ গল্পকার শফিক হাসান’র কাছে রয়েছে অপ্রকাশিত একাধিক পাণ্ডুলিপি। ২০২৩ সালে নিঝুম প্রকাশন থেকে তিনি প্রকাশ করেছেন প্রয়াত এ লেখকের শেষ কাব্যগ্রন্থÑ ‘মুক্তি তোকে পেতেই হবে বাংলাদেশ’। প্রচ্ছদ করেছেন শতাব্দী জাহিদ। বইটি প্রকাশের বিষয়ে শফিক হাসান বলেন, ‘দীর্ঘ সাত বছর যাবত কবিতার পাণ্ডুলিপিটি আমি বয়ে বেড়িয়েছি। কয়েকজন প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, প্রত্যাশিত সাড়া পাইনি। শেষপর্যন্ত বিবেকের দায় থেকে নিজ অর্থায়নে বইটি প্রকাশ করেছি।’বইটির প্রকাশক ও সম্পাদক শফিক হাসান আরও বলেন, ...
রোমান্টিক বিরহের গল্প : চরণে ধরিয়া তব

রোমান্টিক বিরহের গল্প : চরণে ধরিয়া তব

Stories
রোমান্টিক বিরহের গল্প : চরণে ধরিয়া তব লেখক : ধ্রুব নীল শুধু আমিই আমাকে বুঝতে পারি। আমার মা-ও আমাকে বুঝতে পারে না। সেখানে তমাল কোন ছার। তাকে বুঝতে দিলেও সে বুঝবে না। তমাল হলো খোলা বই। তরতর করে রিডিং পড়া যায়। সমস্যা হলো বইটায় তেমন থ্রিল নেই। ম্যাড়ম্যাড়ে কয়েকটা ছোটগল্প আছে বড়জোর। তমালের ফোনে ব্রাউজার হিস্ট্রি ডিলিট করার অ্যাপ দেখেছি। কথা বলার সময় মিনিটে চোখ কতবার কোন দিকে যায়, আর সেটার পেছনে যে মনস্তত্ত্ব লুকিয়ে থাকে, সেটা একটা সফটওয়্যারও ধরে ফেলবে। আমার চোখের কঠিন ফেস রিকগনিশন সে ফাঁকি দেবে কী করে! লুকিয়ে এটা সেটা দেখলে দেখুক। প্রেম করার জন্য লুতুপুতু মার্কা সেজে বসে থাকাটা যে কাজের জিনিস নয়, এই ভুল তার ভাঙতে হবে। বিশ্বাস করুন, ভালো মানুষিগিরির চেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু নেই আমার অভিধানে। আমি আমার মতো। ভালো মানুষ ভালো হোক, খারাপ মানুষ খারাপগিরি করুক। আমি থাকি আমার মতো। তমাল তমালের ...
What is Magic Realism?

What is Magic Realism?

Stories
Magic realism is a literary genre that has been gaining popularity over the years. But what is magic realism, and why is it such an intriguing genre? In this article, we'll explore the meaning of magic realism, its origins, and some of its notable characteristics. What is magic realism? Magic realism is a literary genre that combines elements of fantasy and myth with reality. It originated in Latin America in the 1940s and is often associated with the works of writers such as Gabriel Garcia Marquez, Isabel Allende, and Jorge Luis Borges. The genre portrays magical or supernatural events in a realistic and believable manner, blurring the line between the real and the fantastic. The stories often take place in everyday settings and involve ordinary people, but with elements of the mag...
A Story written by AI : Edgar Alan Poe Style!

A Story written by AI : Edgar Alan Poe Style!

Stories
A Story written by AI : Edgar Alan Poe Style! It was a dark and stormy night, and the wind howled through the trees like the wails of lost souls. I was seated in my study, surrounded by books and flickering candles, when there came a knock at my door. "Who could be calling on me at this hour?" I muttered to myself as I rose from my chair and made my way to the door. Upon opening it, I was greeted by a young woman, soaked to the bone and shivering in the cold. "Please, sir," she said in a trembling voice, "I need your help. My husband has gone missing, and I fear the worst." I invited her in and offered her a seat by the fire. As she warmed herself, she told me her story. Her name was Emily, and her husband had recently taken to exploring the dark and foreboding woods...
নাটকের স্ক্রিপ্ট : আমি তুমি সে : দৃশ্য ৫১ থেকে দৃশ্য ৬০

নাটকের স্ক্রিপ্ট : আমি তুমি সে : দৃশ্য ৫১ থেকে দৃশ্য ৬০

Stories
আমি তুমি সে নাটকের সব পর্ব (চিত্রনাট্য) ami tumi se natok full story দৃশ্য ৫১ থেকে দৃশ্য ৬০     দৃশ্য-৫১ সকাল। আউটডোর। কক্সবাজারের হোটেল।  সমুদ্রের ঢেউ। গর্জন শোনা যাচ্ছে।   জেরিন আর নাভিদ সৈকতে হাঁটছে। আরশাদ শিরিনের ছবি তুলছে।   জেরিন: একটা কথা সত্যি করে বলবে? নাভিদ: এর মানে কি! আমি কি সব সময় মিথ্যে বলি নাকি? জেরিন: না, তবে সম্ভাবনা আছে বলার। নাভিদ: আরে এত ভনিতার দরকার নেই। বলো কী বলবে। জেরিন: আহা.. সৈকতে এভাবে হাঁটছি। একটু সফটলি বলো। এমন মেজাজ গরম করে রেখেছো কেন। নাভিদ: হুম। জেরিন: আচ্ছা, কথাটা হলো তুমি কি শিরিনকে পছন্দ করে ফেলেছো। নাভিদ: (হাসলো) তুমি কত দিন ধরে এই বিষয়টা ভাবছো বলতো? জেরিন: কতদিন ধরে ভাববো। নাভিদ: তোমার ধারণা, গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের মধ্যে অনেক কিছু হয়ে গেছে, তাই না? জেরিন: (হাসি হাসি) না, ...
৫০ বিরহের গল্প : পর্ব -৩ : আপনা ভুলিয়া

৫০ বিরহের গল্প : পর্ব -৩ : আপনা ভুলিয়া

Stories
ধ্রুব নীল মকবুল সাহেব ভুলোমনা। তার কাছে সব সময়ই হলো প্রেজেন্ট পারফেক্ট টেন্স। এইমাত্র একটা কিছু করলে সেটা খানিকক্ষণ মনে থাকে। রাত সাড়ে এগারোটায় স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা ছেড়ে ব্যাগ হতে বের হয়ে গেছেন। কী নিয়ে ঝগড়া সেটা মনে পড়ছে না। রাস্তায় নামতেই পেয়ে গেলেন রিকশা। রিকশাওয়ালাই ডাক দিল। ‘যাবেন?’ রিকশাওয়ালার ডাক শুনে মনে হলো তার যাওয়া উচিত। যাওয়ার জন্যই তো বের হয়েছেন। মকবুল সাহেব ধরে নিয়েছেন তিনি জানেন কোথায় চলেছেন। পরে কোনো এক সময় মনে পড়লেই হলো। রিকশা থামলো একটা বস্তির মতোন জায়গায়। ‘নামেন।’ মকবুল সাহেব নামলেন। দুই যুবক পথ আটকালো। দেখতে ফিটফাট। কোম্পানির সেলসে চাকরি করলে যেমন সুটেড বুটেড থাকে। ‘আংকেল ব্যাগটা দিন, আর মানিব্যাগটা।’   ধ্রুব নীলের গল্প “তোমার অসীমে” মকবুল সাহেব ঘাবড়ালেন না। রিকশাভাড়া দিতে গেলেন। রিকশাওয়ালা বলল, লাগবে না স্যার। মকবুল সাহেব তার মানিব্য...

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!